নজর২৪, ঢাকা- করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ায় ৩১ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে যাচ্ছে। আগামী রোজার ঈদের পর খুলতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি থাকলেও বিষয়টি রিভিউ করা হতে পারে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও অভিভাবকদের কাউকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাই না। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে নতুনভাবে চিন্তা করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, যেভাবে দেশে সংক্রমণ কমে গিয়েছিল, তাতে আমরা খুব আশাবাদী হয়েছিলাম যে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এমনকি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দিতে পারব ও পর্যায়ক্রমে খুলব। কিন্তু হঠাৎ, শুধু বাংলাদেশে নয় সারা বিশ্বে করোনার নতুন যে ঢেউ এসেছে তাতে আমাদের এখানেও খুব দ্রুততার সঙ্গে গত কয়দিনে সংক্রমণের হার বেড়েছে। মৃত্যুর সংখ্যাও কিছুটা বেড়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এই পরিস্থিতিতে ছুটির তারিখ পুনর্বিবেচনা করছি। আজকে আমাদের যে জাতীয় পরামর্শক কমিটি আছে তাদের সঙ্গেও আমরা কথা বলব। আশা করছি আগামীকালের মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু ঈদের পরে খোলা হচ্ছে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকও হয়তো ওই সময়ের কাছাকাছি নিয়ে যেতে হবে। কারণ আমরা অবশ্যই চাই, কেউ যেন সংক্রমিত না হয়। সবার প্রতি অনুরোধ, সবাই যেন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলি। মাস্ক পরিধান করি ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখি। এর কোনোটাই করা হচ্ছে না, কিন্তু আমরা সবাই যেন এগুলো মেনে চলি। কারণ সংক্রমণ কমানোর এটিই একমাত্র উপায়।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছিলেন, ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হবে।
তখন তিনি বলেছিলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও প্রাক-প্রাথমিক খুলছে না। এ বিষয়ে পরে জানিয়ে দেয়া হবে। পঞ্চম, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস নেয়া হবে। অন্যান্য ক্লাসের শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন ক্লাস নেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে।
এরপরই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর স্কুল খুলতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেয়। ফলে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা স্কুল-কলেজ সংস্কারের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ।