চিত্র-বিচিত্র ডেস্ক- ভম্বল শীলকে প্রথমে দেখলে তাকে আর আট-দশজন স্বাভাবিক মানুষের মতোই মনে হবে। তার চলাফেরা-কথাবার্তায় কোথাও কোনোরকমের অসংলগ্নতাই চোখে পড়বে না।
তবে তিনি ঠিক স্বাভাবিক মানুষ নন। ঘুমোতে গেলে ঠিক যেন অন্য মানুষ মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের ভম্বল শীল। এক ঘুমে যিনি কাটিয়ে দিতে পারেন টানা সাত দিন। মাঝে প্রাকৃতিক প্রয়োজনে টয়লেটে গেলে সেখানেও দুই-তিন দিন ঘুমিয়ে থাকেন।
এমনকি একই দশজনের খাবার গোগ্রাসে উদরস্থ করে ফেলতে পারেন। যে কারণে ভম্বলকে তাই ঠিকমতো খেতে দিতে পারেন না তার পরিবারের সদস্যরা। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে গেলেই কেবল পেটপুরে খাওয়া জোটে তার।
প্রায় বিশ বছর ধরে চলছে ভম্বল শীলের এই অস্বাভাবিক জীবন যাপন। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন ১৪-১৫ বছর বয়স পর্যন্ত স্বাভাবিকই ছিলো তার জীবন। কৈশোরেই অস্বাভাবিকতা ধরা পড়লেও অর্থনৈতিক দুর্দশায় চিকিৎসা করাতে পারেননি তারা। যে কারণে বর্তমানে এই অদ্ভুত জীবন যাপনে বাধ্য হচ্ছেন ভম্বল।
পেশায় নরসুন্দর ভাইয়ের সংসারেই দিন কাটছে তার। তিনিও আর্থিকভাবে এতো স্বচ্ছল নন। যে কারণে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। এলাকাবাসী জানান, এমনও সময় যায় পুরো মাসই গোসল করেন না ভোম্বল। তবে যখন গোসলে পুকুরে নামেন তখন দুই-তিন দিনও কাটিয়ে দেন গোসল করতে করতেই।
চিকিৎসকরা বলছেন, একটি জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত ভম্বল শীল। সুচিকিৎসা পেলে তিনি এই রোগ থেকে সুস্থ হয়ে উঠবেন।