প্রেম, বিয়ের প্রস্তাব- এগুলো একদমই সত্য নয়: পূর্ণিমা

জীবনের লেনা-দেনা চুকিয়ে রোববার বিকালে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন গায়ক আকবর। রিকশাওয়ালা আকবর আলী গাজী থেকে সংগীতশিল্পী আকবর হয়ে উঠেছিলেন তিনি।

দেশের সংগীতাঙ্গনে তাকে জায়গা করে দিতে অবদান রেখেছিল জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি। এই অনুষ্ঠানে গান গেয়েই গায়ক পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি।

২০০৩ সালের ঈদে প্রচারিত ইত্যাদিতে প্রচার হয়েছিল আকবরের মৌলিক গান ‘তোমার হাতপাখার বাতাসে’র মিউজিক ভিডিও। এতে অভিনয়ও করেছিলেন আকবর। তার বিপরীতে ছিলেন ঢালিউড লাস্যময়ী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা।

অসম্ভব বাহ্যিক সৌন্দর্যের অধিকারী পূর্ণিমা তখন বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা। লাখ তরুণ মজে আছেন তার সৌন্দর্যে। গুঞ্জন উঠেছিল, পূর্ণিমাকে মডেল হিসেবে পেয়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি আকবর। নিজের জীবনসঙ্গিনী করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বিয়ে করতে চেয়েছিলেন পূর্ণিমাকে।

তবে জীবদ্দশায় একাধিকবার আকবর এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন। জানিয়েছেন গুঞ্জনটি মিথ্যা। তিনি কখনও পূর্ণিমাকে এ ধরণের কথা বলেননি বলেও দাবী করছেন।

এদিকে পূর্ণিমাও কখনও আকবরের বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ আনেননি। আকবরের চলে যাওয়ার দিনেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন নায়িকা। তিনি জানিয়েছেন এই গুঞ্জনটি একেবারেই মিথ্যা, বানোয়াট। প্রকৃতপক্ষে আকবর তাকে যথেষ্ট সম্মান ও শ্রদ্ধা করতেন।

পূর্ণিমা বলেন, ‘এগুলো খুবই বাজে কথা এবং খুবই নোংরা টাইপের বিষয়। এগুলো বানানো এবং একদমই মিথ্যা কথা। উনি (আকবর) উনার জায়গা থেকে মানুষকে সম্মান দিয়ে কথা বলতেন। আমার কারণে উনার সংসার ভেঙেছে, প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছেন বা বিয়ে এগুলো কিছুই না।’

নিজের ফোনে আকবরের নাম্বার ছিল না জানিয়ে এই নায়িকার ভাষ্য, ‘আমার ফোনে কখনোই উনার (আকবরের) নাম্বার ছিল না। উনার ফোনেও আমার নাম্বার থাকার কথা না। থাকলেও কখনো তিনি আমাকে কল দেননি। ওই অনুষ্ঠানের পর আমার সঙ্গে ফোনে উনার কথাই হয়নি।’

বর্তমান ফেসবুক যুগের কথা উল্লেখ করে এই তারকা আরও যোগ করেন, ‘ভাগ্য ভালো যে তখন এখনকার মতো ফেসবুক ছিল না। থাকলে তো এসব মিথ্যা গুজব ভাইরালও হয়ে যেতো। তারপরও কিছু মানুষ এখনো বলে আমি নাকি তার বিয়ে ভাঙার কারণ। এগুলো একদমই সত্য নয়। নিজের জায়গা থেকে তিনি আমাকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা ও সম্মান করতেন।’

২০০৩ সালে সেই মিউজিক ভিডিওটি করতে গিয়ে আকবর বেশ নার্ভাস ছিলেন বলেও জানান পূর্ণিমা। তার কথায়, ‘কাজটি করার সময় আকবর বেশ নার্ভাস ছিলেন। তার জীবনে এটা অনেক বিশাল একটি কাজ ছিল। আমি হাত পাখার বাতাস করছি তাকে, খাওয়াচ্ছি। হাত ধরারও কিছু দৃশ্য ছিল। এত বেশি নার্ভাস ছিলেন তিনি, পাশে বসবেন কী বসবেন না! আরও অনেক সংশয় ছিল। সেই কাজের পর আকবরের সঙ্গে আর কোনো কাজ হয়নি। তবে বিভিন্ন শোতে একাধিকবার দেখা হয়েছে। দেখা হলেই আমাকে সালাম দিতেন। সম্মান করতেন। এতটুকুই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *