গাজীপুর মহানগরীর পুবাইলে ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের মালিকানাধীন শুটিং হাউস ‘জান্নাতে’ গত বৃহস্পতিবার রাতে দেয়াল টপকে একদল চোরের অনুপ্রবেশ ঘটেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, চোরেরা ভেতরে প্রবেশ করলেও কিছুই নিতে পারেনি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, গাজীপুর মহানগরীর পুবাইল থানা এলাকায় আড়াই বিঘা জমির ওপর সুবিশাল দোতলা একটি বাড়ি রয়েছে। বাড়িটির দোতলায় বসার জন্য সুন্দর ও পরিপাটি সোফা রয়েছে। দেয়ালে দেয়ালে টাঙানো চিত্রকর্মের ওয়ালম্যাট। বিলাসবহুল বাড়িটি শুটিংয়ের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়। সেখানে নাটক, সিনেমা ও মিউজিক ইত্যাদির শুটিং হয়ে থাকে। নিরাপত্তার জন্য চারপাশে সুউচ্চ সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে তিনজনের একটি দল সীমানাপ্রাচীর ও কাঁটাতার ডিঙিয়ে ‘জান্নাতে’ প্রবেশ করে। এ সময় বিষয়টি স্থানীয়রা দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা বাড়ির কেয়ারটেকারকে ডাকাডাকি করলে চোরেরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী আজম বলেন, “আমি পাথরের ব্যবসা করি। রাত দেড়টার দিকে দুই ট্রাক পাথর নামিয়ে বাড়ি ফেরার সময় শাকিব খানের বাড়ির ভেতরের আমগাছ থেকে শব্দ পাই। তখন মোবাইলের টর্চ লাইট মারলে আমগাছে তিনজনকে দেখতে পাই। এ সময় তারা আমাকে হুমকি দেয়, ‘তুই কিন্তু কিছু বলবি না, কাউকে ডাকাডাকি করবি না, যদি করিস তোরে মেরে ফেলব।”
তাৎক্ষণিক আমি বাড়ির দেয়ালে লাগানো ম্যানেজার সম্রাটের মোবাইল নম্বরে ফোন করি। বেশ কয়েকবার ফোন করার পরও ফোন রিসিভ না করলে স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে বাড়ির দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে বাড়িতে থাকা সবাইকে ডেকে তুলি।
এ বিষয়ে শাকিব খানের বাড়ির দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার সম্রাট বলেন, ‘রাত দেড়টার দিকে বাড়িতে একদল দুর্বৃত্ত হানা দেয়, যা প্রতিবেশী আজম নামের এক ব্যক্তি দেখে ফেলেন। দুর্বৃত্তরা বাড়িতে থাকা জেনারেটর ও মূল্যবান মালামাল চুরির চেষ্টা করে। তবে স্থানীয়রা দেখে ফেলায় এবং পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসায় তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমরা থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করব।’
পুবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুর রহমান, শাকিব খানের বাড়ির ম্যানেজার সম্রাট ও প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় আজম চুরির চেষ্টার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি মো. জাহিদুর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে শাকিব খানের বাড়িতে হামলা ও ডাকাতি হয়েছে, মোবাইল ফোনে এমন তথ্য জানিয়ে বেশ কয়েকটি কল আসে। তাৎক্ষণিক পুবাইল থানা পুলিশের একটি দল ও আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। কিন্তু সেখানে ডাকাতি কিংবা হামলার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে বাড়িতে থাকা পুরোনো অচল একটি জেনারেটর চুরির চেষ্টার আলামত পাওয়া গেছে। তবে চোরেরা চুরি করতে না পেরে সেটি ফেলেই পালিয়ে যায়।’