গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হওয়া কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি দেড় মাস পর শুটিংয়ে নিজের জগতে ফিরেছেন।
এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় যে উপলব্ধি হয়েছে, সেটা একটি সাক্ষাৎকারে জানালেন তিনি। রনি বলেন, “একবার মনে হয়েছে যে, লাইফ ইনসুরেন্সটা করে রাখা ভালো ছিলো আগে থেকে। সামগ্রিকভাবে বাড়ির চিন্তা-ভাবনা দেখে মনে হয়েছে আরকি। একটা ঘটনা বলি; ওইদিন (বিস্ফোরণের দিন) আরও কয়েক জায়গায় অনুষ্ঠান ছিলো। কিন্তু আমি সেগুলোতে না গিয়ে পুলিশের অনুষ্ঠানে গিয়েছি। তো আমি আহত হওয়ার পর তাদের একজন মেসেজ দিয়ে বলেছেন, ‘আমার প্রোগ্রামে আসলে কিন্তু আপনার এই সমস্যা হতো না!’
ভাবেন, আমি যখন অ্যাম্বুলেন্সে করে যাচ্ছি হাসপাতালে, তখন এই মেসেজ আসে!”
বললেন, ‘কার জীবন যে কখন কোথায় থেমে যায়, এটা বলা মুশকিল। এই কারণে জীবনের কিছু বিষয় পরিবারের সদস্যদের কাছে জানিয়ে রাখা বা বলে রাখা দরকার। যেমন কিছু নগদ টাকা বাসায় রাখা উচিত। কারণ যদি বাসায় আপনি একমাত্র আয়কারী মানুষ হন, তাহলে আপনার কাছে হয়ত এটিএম কার্ড আছে। কিন্তু আপনি কোনও দুর্ঘটনায় অজ্ঞান। তাহলে অন্তত প্রাথমিক চিকিৎসার টাকাটা কোত্থেকে আসবে? আপনার জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত কেউ কার্ডের পাসওয়ার্ড জানার সুযোগ নেই। তাই এটিএম কার্ডের পাসওয়ার্ড কিংবা কিছু নগদ টাকা অন্তত বাসায় রাখা উচিত।’
হাসির মানুষ বলে কথা, শেষে তাই কৌতুকের আশ্রয় নিয়ে বলেছেন, ‘মৃত্যুর পরও যদি সুন্দরী মেয়েদের দেখতে চান, তাহলে মরণোত্তর চক্ষু দান করে যান।’
উল্লেখ্যে, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুলিশ লাইন্স মাঠে নাগরিক সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শুরুর আগে অতিথিদের উদ্বোধনী মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রধান অতিথির হাতে বেশকিছু বেলুন দেওয়া হয়।
কিন্তু বার বার চেষ্টার পরও বেলুনগুলো উড়ছিল না। পরে পায়রা উড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্য অতিথিরা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মূল মঞ্চের দিকে চলে যান। এরপর বেলুনগুলো নিয়ে যাওয়া হয় উদ্বোধন মঞ্চের পেছনে। কিছুক্ষণ পরই বিস্ফোরিত হয় বেলুনগুলো। এতে পাশে বসে থাকা কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ পাঁচ জন দগ্ধ হন।