গ্রামীণফোনের নতুন সিম বিক্রি বন্ধের চার মাস পর এবার পুরনো সিম (৪৫০ দিনের বেশি সময় ধরে অব্যবহৃত) বিক্রি বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে এখন থেকে নতুন-পুরনো কোনো সিমই বিক্রি করতে পারবে না দেশের সর্বাধিক গ্রাহকের এই মোবাইল অপারেটরটি।
রোববার (৬ নভেম্বর) বিটিআরসি কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
বিটিআরসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামীণফোনের বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা (চলতি বছরের মে পর্যন্ত) আট কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার। এই বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারী থাকা সত্ত্বেও অপারেটরটির বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ এসেছে, তারা বিটিআরসি থেকে যে স্প্রেকট্রাম বরাদ্দ নিয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। এছাড়াও ঘনঘন কল ড্রপ, ফোরজি কভারেজ না বাড়ানো, বিটিআরসির পাওনা নিষ্পত্তি না করাসহ অপারেটটির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছে কমিশন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা চেষ্টা করেও গ্রামীণফোনের সেবার মান ভালো করার কোনো উদ্যোগ নিতে দেখিনি। তারা গ্রাহক বাড়াবে কিন্তু সেবার মান বাড়াবে না- এটা হতে দেয়া যাবে না। যতদিন না তারা সেবার মান ভালো করবে এবং তা সন্তোষজনক পর্যায়ে উন্নীত না হবে ততদিন গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশন্স খায়রুল বাশার বলেন, ‘গ্রাহকদের চাহিদার কারণে প্রাক-অনুমোদিত নম্বর বিক্রির অনুমতি দেওয়ার আগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা রোববার গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর আবারও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।’
গ্রামীণফোন এই সিদ্ধান্তে গভীরভাবে মর্মাহত বলেও জানান তিনি।