অক্টোবরের তিন তারিখ ছেলের বিয়ের পর্ব শেষে একটু অসুস্থ্য হয়ে যাই। তেইশ তারিখে কাজে ঢুকতে পেরেছি। মাঝখানে একদিন বিরতি, আর দুইদিন আমার ফিজিও থেরাপী সম্পন্ন হলো। পুরো নভেম্বরেই রেকর্ডিংয়ের চাপ আছে।
সারা বিশ্বে শুধুই গান গাওয়ার সুযোগ আবারও প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। মিউজিক ভিডিও কেন্দ্রিক অডিও ভিডিও নাটক ডুয়েল বানিজ্যে স্থবিরতা আসা অবশ্যাম্ভাবী ছিল। গানের শক্তি সবসময়ই আলাদা।
এই মাসের বারো তারিখে আমার পাসপোর্ট বিহীন বাংলাদেশী নাগরিকত্বের একবছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। বাস্তব অর্থে ওয়ার্লড ট্যুরের ছক তৈরী ছিল, সরকার পাসপোর্ট দিলোনা, সব বাতিল। ভেবেছিলাম পাসপোর্ট পেলে দেশে বিদেশে আবার গাইবো পুরো স্ট্রেংথ নিয়ে।
ফিজিও থেরাপীসহ আনুষাঙ্গিক ফিটনেস নিয়ে কাজ করছি, এখন কঠোর পরিশ্রমে আছি নিজেকে ফিট করার জন্য। দীর্ঘদিনের জমে থাকা মেদ আর স্টেজে আমার গান গাওয়ার সম্ভাবনার আকাশ এখন প্রায় সমার্থক অর্থ বহন করে।
আমি পথিক, পথ তৈরী করে হাঁটার অভ্যাসটা পুরনো। অনেক শো আসে, রাষ্ট্রের সাথে অভিমান থাকায় সেগুলোও বাতিল করে দিয়েছি।
পাসপোর্টের জন্য আর অপেক্ষা না করে নিজের রিজিক সমুন্নত রাখতে পেশাদার শিল্পী হিসেবে আবারো দেশের মাটিতেই করে কেটে খাবার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি, আহারের সঙ্গে আর অভিমান নয়।
জানি প্রতিরোধ আসবে, আসুক, দেখা যাক কি হয়। কখনোই বাতাসের বিপরীতে ছিলাম না, নিজের চিন্তাজগতের গতিতেই সবসময় ছিলাম, এখনো আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো ইনশাআল্লাহ। ভালবাসা অবিরাম…
কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত