শতাধিক সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছি: শরিফুল রাজ

২০২২। না শাকিব খান, না আরিফিন শুভ। তাদের ছাপিয়ে আলোচনায় এখন শরিফুল রাজ। বলা চলে এই নায়কের বৃহস্পতি রীতিমতো এখন তুঙ্গে। একসঙ্গে তার অভিনীত ৩টি সিনেমা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সিনেমা হলগুলো। যার মধ্যে তার ২ সিনেমা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও চলছে সগৌরবে।

চলচ্চিত্রাঙ্গনে আসার আগে শরিফুল রাজ ২০১২ সালে র্যাম্প মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। র্যাম্পের সাবলীল পারফরম্যান্স তাকে ফ্যাশন জগতে দ্রুতই পরিচিতির আলোয় নিয়ে আসে। দেশ সেরা কোরিওগ্রাফারদের সঙ্গে কাজ করে সেসময় তিনি একজন সফল মডেল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

২০১৬ সালে রেদওয়ান রনি নির্মিত ‍‍`আইসক্রিম‍‍` চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চিত্রজগতে অভিষেক হয় রাজের। `আইসক্রিম‍‍`-এ অভিনয়ের পর থেকে রাজ আরও আগ্রহী হয়ে ওঠেন অভিনয় নিয়ে। আগের মতোই র্যাম্প মডেলিং চালিয়ে যান আর সেই সঙ্গে অভিনয়ে সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন।

এরপর ২০১৯ সালে তানিম রহমান অংশুর পরিচালনায় ‍‍`ন ডরাই‍‍` সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন শরিফুল রাজ। এ সিনেমায় রাজের অভিনয় বেশ প্রশংসা কুড়ায়। এর ফলশ্রুতিতেই তার হাতে আসতে থাকে একের পর এক সিনেমার কাজ।

২০২২ সালে গিয়াসউদ্দিন সেলিমের পরিচালিত ‍‍`গুণিন‍‍` সিনেমায় কাজ করে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই গুনী অভিনেতা। এরপর একই বছর মুক্তি পায় রাজের অভিনীত রায়হান রাফির পরিচালিত ‍‍`পরাণ‍‍` এবং মেজবাউর রহমান সুমনের পরিচালিত ‍‍`হাওয়া‍‍` সিনেমা। সিনেমায় সুঅভিনয়ের কারণে আলোচনার তুঙ্গে চলে আসেন রাজ। ব্যাপক জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গে টাইমলাইনে চলে আসেন এই মেধাবী অভিনেতা। এরইমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তার আরেক সিনেমা ‘দামাল’। এটিও বেশ প্রশংসা কুড়াচ্ছে।

এদিএক মজার ব্যাপার হলো, এই অভিনেতার ‘পরাণ’ ও ‘হাওয়া’ সিনেমা ব্যবসাসফল হলেও তারপর তেমন কোনো সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হননি। কেন? মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, তাহলে কি রাজ কোনো প্রস্তাব পাননি? রাজকে নিয়ে নির্মাতা, প্রযোজকদের আগ্রহ নেই! এমনটা হওয়ার কথা নয়।

এ প্রসঙ্গে একটি জাতীয় দৈনিককে শরিফুল রাজ বলেন, ‘এর মধ্যে অনেক সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু বেশির ভাগ গল্পই আমার কাছে ভালো লাগেনি। হাতে গোনা কটি গল্প কিছুটা ভালো লেগেছে, সেগুলো নিয়ে কথা হচ্ছে; কিন্তু আমি এই মুহূর্তে কোনো সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হতে চাই না। আমার হাতে গিয়াস উদ্দিন সেলিম ভাইয়ের “কাজল রেখা”সহ আরও একটি সিনেমার কাজ রয়েছে। দুটি কাজ শেষ করেই অন্য সিনেমা নিয়ে ভাবব।’

প্রশ্নের আসল উত্তর এখনো পাওয়া গেল না। আবার রাজের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সংখ্যায় কতগুলো চিত্রনাট্য পেয়েছেন? সংখ্যা বলতে নারাজ রাজ। পরে এই অভিনেতা হেসে বললেন, ‘বাসা, হোয়াটসঅ্যাপস, মেসেঞ্জারে মিলিয়ে অনেক চিত্রনাট্য পেয়েছি। সংখ্যা তো গুনিনি। তবে ১০০-এর বেশি হবে। অনেকগুলো আমি পড়েছি, এখনো পড়ছি।

তিনি বলেন, হয়তো দর্শক আমার সিনেমা গ্রহণ করছেন। তাই বলে হুটহাট বছরে একের পর এক ছবি করে যেতে চাই না। শুরু থেকেই আমি এভাবে কাজ করতে চাইনি। যখন আমার অর্থের অনেক দরকার ছিল, তখনই করিনি। এখন তো প্রশ্নই ওঠে না। এর মানে এই নয় আমার অনেক টাকাপয়সা। কাজে ছাড় দিতে চাই না। সেই জায়গা থেকে কথাগুলো বলছি। গল্প ভালো লাগলেই সুখবর দেব।’

রাজকে আপাতত নতুন কোনো সিনেমায় শুটিং করতে দেখা যাবে না। তাঁর হাতে থাকা দুটি সিনেমার শুটিং শেষ করে আগামী বছর মার্চ এপ্রিলে তিনি আবার নতুন কোনো সিনেমায় নাম লেখাবেন বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *