আমার জন্ম হয়েছে সোনার চামচ মুখে দিয়ে: রুকাইয়া চমক

উঠতি অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক মা–বাবার সাধ পূরণ করেছেন। ২০১৭ সালে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছিলেন তিনি। নানা সুযোগের হাতছানি উপেক্ষা করে চালিয়ে গেছেন লেখাপড়া।

মা–বাবার সাধ, মেয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়বে। চমক পড়েছেন। দুইবছর আগে একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করেছেন। এরপর থেকে নিজের সাধ, অভিনয়ের পেছনে সময় দিচ্ছেন এই তরুণী।

ঢাকায় সাংস্কৃতিক পরিবারে বেড়ে ওঠা চমক শৈশব থেকেই নাচ শিখতেন। অভিনয়, সে তো নাচের অংশই। ভালো নাচ করতেন বলে এলাকার সবার চিনত তাঁকে। কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। ঘরের বাইরে বেরোলেই মানুষ চিনে ফেলছে, ব্যাপারটা বেশ আনন্দের। এই ব্যাপারটিই তাঁকে টেনে নেয় অভিনয়ে। মনে হয়, অভিনয় করলে তো আরও বহু মানুষ চিনবে তাঁকে।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের শেষের দিকে আবার অভিনয়ের শুরু। দুই বছরে বেড়েছে পরিচিতি। সম্প্রতি অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরে তাঁর নামের সঙ্গে চলচ্চিত্র পরিচালকও যুক্ত হচ্ছে।

সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে রুকাইয়া চমক বলেন, ডি-ঢাকা ড্রাগ ডিলারস নামের এই ছবির ২৬ দিন শুটিং করেছি। অ্যাকশন-ক্রাইম থ্রিলার ধাঁচের ছবিটি ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের। এটা হলের জন্য বানিয়েছি। এরই মধ্যে আমি একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও পরিচালনা করেছি। সেটাও আমার খুব পছন্দের একটা কাজ। চিড় নামে ছবিটির অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলী সবাই নারী। আমার নিজেরই প্রতিষ্ঠান স্টার বক্স প্রোডাকশন থেকে বানিয়েছি। ছবিটির দুটি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন সামিরা খান মাহি ও সেমন্তী। শুরুতে এটি উৎসবে পাঠাব। এরপর ওটিটিতে মুক্তি দেব।

পরিচালক হতে কেন চেয়েছেন? তিনি বলেন, আমার মনে হয়, ডিরেক্টরস আর লাইক ম্যাজিশিয়ান। দর্শককে দুই-আড়াই ঘণ্টা বসিয়ে রাখেন। একটা চরিত্র, সেটা কিন্তু বাস্তব নয়, পর্দার ওই আবেগের সঙ্গে দর্শককে ভ্রমণ করানো, চরিত্রের মধ্যে ঢোকানোর বিষয়টা সত্যিই ম্যাজিক। তাই আমি শুরু থেকেই এই ম্যাজিক দেখাতে চেয়েছি।

চমক নামটি নিজের দেওয়া নাকি পরিবার থেকে রেখেছে?, অভিনেত্রী বলেন, আমার বড় মামা জন্মের পর বলেছিলেন, এই মেয়ে চমক দেখাবে। তাই চমক নামটা তিনিই রেখেছেন। সত্যি বলতে কি, আমার জন্ম হয়েছিল সোনার চামচ মুখে দিয়ে। আমার জন্মের পর নানাভাই হাসপাতালে সোনার চামচ এনে মুখে মধু দিয়েছিলেন (হাসি)। মানুষ বলে না, ‘সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম হয়েছে’, আমার ক্ষেত্রে সত্যি সত্যিই তা হয়েছিল। (হাসি) আমার মায়ের বংশের প্রথম নাতনি ছিলাম তো, তাই সবার ভীষণ আদরের ছিলাম।

দুই বছরে আপনার অভিনীত কাজের সংখ্যা কত? তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১০০-এর বেশি নাটক করেছি। এই সময়ে দর্শক ও পরিচালকদের এত ভালোবাসা পেয়েছি, প্রত্যাশা করিনি। ভাবিনি, সবাই এত দ্রুত আপন করে নেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *