নজর২৪ ডেস্ক- হেফাজতের নতুন আমির হয়েছেন জুনায়েদ বাবুনগরী। আগের কমিটিতে তিনি মহাসচিব পদে ছিলেন। আর নতুন মহাসচিব করা হয়েছে নূর হোসেন কাসেমীকে। তিনি আগের আগের কমিটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগর কমিটির আহবায়ক ছিলেন।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আজ রোববার বেলা আড়াইটায় হেফাজতের ১৫১ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই কমিটিতে হেফাজতের প্রয়াত আমির আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানী ও তাঁর অনুসারীদের কাউকে রাখা হয়নি।
এদিকে কমিটি ঘোষণার পর হেফাজতে ইসলামের নতুন আমির জুনাইদ বাবুনগরী বলেছেন, তার অনিচ্ছা থাকলেও সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের অনুরোধে পদটি নিতে হয়েছে তাকে।
মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সামনে এসে জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, “আমাকে আমির না করার জন্য আমি বলেছি। তারপরেও এই মুরুব্বিরা আমির বানাইয়া দিছে।”
এসময় উপস্থিত হেফাজতকর্মীরা ‘বাবুনগরী এগিয়ে চল- আমরা আছি তোমার সাথে’ স্লোগান দিতে থাকে।
“আমি এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আদায় করতে পারার জন্য আপনারা দোয়া করবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার কমিটির ওলামায়ে কেরামদের জন্য দোয়া করবেন,” বলেন বাবুনগরী।
আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর পর কে হচ্ছেন আমির তা নিয়ে ছিল আলেম-ওলামাদের মধ্যে সরব আলোচনা। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছিল, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আমির এবং আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী মহাসচিব হতে পারেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি গঠিত হয়েছিল হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ। হাটহাজারীর দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার প্রধান পরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে আমির ও মাদ্রাসার তৎকালীণ সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে মহাসচিব করে হেফাজতের ২২৯ সদস্যের মজলিসে শূরা কমিটি গঠন করা হয়েছিল সে সময়।
চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আল্লামা শাহ আহমদ শফী ইন্তেকাল করায় আমিরের পদটি শূন্য হয়। তার মৃত্যুর পর হেফাজতের কর্মকাণ্ড কিছুটা শিথিল থাকায় এ নিয়ে তেমন সরব দেখা যায়নি আলেমদের। তা ছাড়া হাটহাজারী মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিক্ষোভের কারণেও হেফাজত নেতাদের মধ্যে কিছুটা ফাটল দেখা দিয়েছে।
এর মধ্যেই রোববার অনুষ্ঠিত হয় হেফাজতের সম্মেলন। যেখানে নির্ধারিত হয়েছে আমির ও মহাসচিবসহ ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি। সারাদেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় সাড়ে ৩শ’ কাউন্সিলর এতে ভোট প্রদান করেন।