প্রেমিক সম্পর্ক ভাঙতে রাজি না হওয়ায় নিজেই ‘পথের কাঁটা’ সরালেন তরুণী

সম্পর্কে ইতি টানতে চাইছিলেন তরুণী। রাজি ছিলেন না প্রেমিক। তাই সম্পর্ক থেকে মুক্তি পেতে প্রেমিককে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে গ্রিশমা নামের এক তরুণীর বিরুদ্ধে। সোমবার (৩১ অক্টোবর) আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ খবরটি জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের কেরালার তিরুঅনন্তপুরম এলাকার কলেজছাত্র শ্যারন রাজের (২৩) সঙ্গে একই কলেজে পড়াশোনা করতেন গ্রিশমা। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মধ্যে গ্রিশমার বিয়ে ঠিক করে তার পরিবার। বেশ কিছু দিন ধরেই শ্যারনের সঙ্গে সম্পর্কে বিচ্ছেদ চাইছিলেন গ্রিশমা। কিন্তু সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসতে রাজি হননি শ্যারন। এর পরই ‘পথের কাঁটা’সরানোর সিদ্ধান্ত নেন গ্রিশমা।

১৪ অক্টোবর শ্যারনকে বাড়িতে ঢেকে পাঠান গ্রিশমা। এই সময় বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি। শ্যারন বাড়িতে এলে গ্রিশমা তাকে এক গ্লাস আয়ুর্বেদিক সরবত খেতে দেন। কিন্তু সেই সরবতের মধ্যে গ্রিশমা কীটনাশক মিশিয়ে দিয়েছিলেন। সরবত খাওয়ার পরই বমি করতে শুরু করেন শ্যারন। পরে শ্যারনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ১১ দিন পর ২৫ অক্টোবর মারা যান শ্যারন। তার পরিবারের দাবি ছিল, শ্যারনকে খুন করা হয়েছে।

শ্যারনের ভাইয়ের প্রথম থেকেই গ্রিশমার উপর সন্দেহ জাগে। শ্যারনকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর থেকেই তার ভাই গ্রিশমাকে ফোন করে জানতে চান, তিনি শ্যারনকে কিছু খাইয়েছেন কি না। আর যদি কিছু বিষাক্ত খাওয়ানো হয়ে থাকে, তা হলে কী খাওয়ানো হয়েছে তা যেন তিনি জানান। তবে গ্রিশমা কোনো উত্তর দেননি।

শ্যারনের মৃত্যুর পর তদন্তে নামে তিরুঅনন্তপুরমের পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় গ্রিশমাকে। রোববার (৩০ অক্টোবর) পুলিশ গ্রিশমাকে টানা ৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি নিজের দোষ স্বীকার করেন।

তিরুঅনন্তপুরমের অতিরিক্ত ডিজিপি অজিত কুমার জানান, প্রেমিকাকে খুন করার অভিযোগে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত গ্রিশমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *