চিত্রনায়িকা বুবলীর সঙ্গে গোপন বিয়ে ও সন্তান ইস্যুতে দেশের বিনোদন মাধ্যমে এখন আলোচনা-সমালোচনার বিষয় ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। এতে যারপরনাই বিরক্ত শাকিবিয়ানরা। তারা চাইছেন, ব্যক্তিগত বিষয়গুলো পাশে রেখে কাজে মন দিক তাদের প্রিয় নায়ক।
সারোয়ার হোসেন নামে শাকিবের এক ভক্ত বলেন, ‘আমরা শাকিবিয়ানরা তার ব্যক্তিজীবন দেখে ভালোবাসি না। সিনেমা দেখে ভালোবাসি। তাই আমাদের চাওয়া ব্যক্তিজীবনকে ব্যক্তিগত রেখে তিনি যেন কাজে মন দেন। ব্যক্তিজীবন নিয়ে যত কথা কম বলবেন ততোই তার জন্য মঙ্গল। তিনি কাকে বিয়ে করলেন, কাকে ডিভোর্স দিলেন— তা নিয়ে আমাদের মাথা ব্যথা নেই।’
মাহফুজ আনাম শাহীন বলেন, ‘শাকিবের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে বিরক্তবোধ করছি। তাকে নিয়ে অসংখ্য মিথ্যা প্রোপাগান্ডা বা সাধারণ বিষয় নিয়েও বেশি পরিমাণ নিউজ হয়েছে। তিনি বড় তারকা হওয়ায় এটা হবে, স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে বসে বসে এগুলো উপভোগ করার মানে হয় না। তার কাজে ফেরা খুব জরুরি। কাজে ফিরলে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কাজের বিকল্প নেই।’
শাকিবকে তাড়াতাড়ি ঘোষণা দেওয়া সিনেমাগুলোর কাজ আরম্ভ করার অনুরোধ জানিয়ে আরেক ভক্ত মারুফ হাসান বলেন, “তাড়াতাড়ি শুটিংয়ে নামা উচিত শাকিব খানের। তার উচিত সানী সানোয়ার, আশফাক নিপুন, ভিকি জাহেদ, মিজানুর রহমান আরিয়ান, এম রাহিম, রায়হান রাফীর মতো তরুণ মেধাবী পরিচালকের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করা। মান্ধাতার আমলের মানহীন পরিচালক-প্রযোজক থেকে বের হয়ে নতুন উদ্যমে কাজে ফেরা। পারিশ্রমিকের দিকে না তাকিয়ে সময় ও সুযোগ বুঝে কলকাতার সিনেমায় অভিনয় করা সময়ের দাবি। আমরা ‘শিকারি’র মতো নতুন একজন শাকিব খানকে দেখতে চাই। আবারও ‘নবাব’ ধ্বনিতে সিনেমা হল প্রকম্পিত করতে চাই।”
আশরাফুল ইসলাম নাঈম বলেন, ‘শাকিব খান আমাদের নজর কাড়েন সিনেমায় দুর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে। ক্যারিয়ারের শুরু দিকেই তার এমন পরিণত অভিনয় দেখে ভক্ত হয়ে যাই। তারপর সবসময় তার সিনেমা নিয়ে ভালো ভালো খবর সবসময় দেখতে চেয়েছি। কিন্তু ইদানিং ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে এত খবর দেখতে দেখতে বিরক্ত। শাকিব খানের কাছে চাওয়া ব্যক্তিজীবন নিয়ে গণমাধ্যমে আর কথা না বলে যেন নতুন সিনেমার কাজ শুরু করেন। মেধাবি পরিচালকদের সাথে ভালোমানের ছবি করে ভক্তদের ভালোবাসার মূল্যায়ন করা।’
নাজমুল হক সৈকত বলেন, ‘ভক্ত হিসেবে সবসময় আমরা শাকিব খানের সঙ্গে ছিলাম। তার সমস্ত বিপদের সময় চেষ্টা করেছি সাপোর্ট দেওয়ার। এমনকি মানহীন চলচ্চিত্র মুক্তির সময়ও। বিনিময়ে কিছুই চাইনি। এখন সময় এসেছে তার প্রতিদান দেওয়ার। আমেরিকা থেকে আসার দুই মাস অতিবাহিত হলেও আমরা তার কাছে পেয়েছি শুধু ফাঁকা আওয়াজ। যা শুনে শুনে বিরক্ত। আমাদের এখন একটাই দাবি, হয় কাজ করুন না হয় বন্ধ করুন।’