মোঃনজরুল ইসলাম, ঝালকাঠি: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগ নেত্রী বিউটি সিকদার আগে ভাগেই মাঠে নেমেছেন।
তিনি এবার দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশায় জনসর্মথন আদায় এবং সাংগঠনিকভাবে নিজেকে উপস্থাপনে তার নির্বাচনী ভাবনার প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইতিমধ্যে বেশ সাড়াও ফেলেছেন। প্রতিদিনই চলছে তার কম বেশি নির্বাচনী প্রস্ততিমূলক প্রচারণা।
রাজাপুর উপজেলায় শুক্তাগড়ে এখন পর্যন্ত এক মাত্র নারী প্রার্থী হিসাবে ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষণা দিয়ে মাঠে আছেন এ আওয়ামী লীগ নেত্রী। এবারের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে শতভাগ আশাবাদী তিনি।
আওয়ামী লীগ নেত্রী বিউটি সিকদার বলেন, আমার নেতা ও অভিভাবক আলহাজ্ব আমির হোসেন আমুর নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে মেনে রাজনীতি করি। সেক্ষেত্রে এবারে প্রার্থিতা চূড়ান্তে নেতা ইতিবাচক ভূমিকা রাখলে তিনি নৌকার মাঝি হতে পারেন। এমনটি প্রত্যাশা করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে শুক্তাগড় ইউনিয়নকে আধুনিক ইউনিয়ন গড়ার স্বপ্ন দেখছেন বলে জানান। তার দাবি, সুখ-দুঃখে সব সময় এলাকাবাসীর পাশে আছি এবং থাকবো।
এ আওয়ামী লীগ নেত্রীর রাজনীতির বাইরেও আলাদা একটি পরিচিতি রয়েছে। যেমন দলের জন্য ত্যাগী তদরুপ উপজেলা অন্যায়ের প্রতিবাদী হিসেবে দীর্ঘকাল মাঠে তৃণমূল পর্যায়ে সার্বিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন । শিক্ষক পরিবারের সুযোগ্য শিক্ষানুরাগী এ নেত্রী ইউনিয়নের শ্রীমন্তকাঠী এম এল বালিকা বিদ্যালয়ের বার বার নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালনে এক দৃষ্টান্ত করে প্রসংশা ভাসছেন তিনি।
ত্যাগের উদাহরণ সৃষ্টি করা এই নেত্রী কিভাবে এলাকার উন্নয়ন সাধন করা যায় তার স্বাক্ষর রাখতে হয় সেই লক্ষ্যে ইউনিয়ন নিয়ে ভাবনা রয়েছে বলে জানান । এছাড়াও নিজ অর্থায়নে দুর্যোগকালীন সময় অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে হাত বাড়িয়ে দিয়ে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে জনগণের আস্থার প্রতিক নেত্রী হিসেবে বিউটি সিকদার পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন।
পরিবর্তনের নতুন ধারা সৃষ্টিতে নয়া আঙ্গিকে শুক্তাগড় ইউনিয়ন পরিষদকে একটি মডেল আধুনিক ইউনিয়নে রূপান্তরের লক্ষে তিনি বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। আশাবাদী, এবারের নির্বাচনে দল তাকে মনোনয়ন দিলে সেই প্রত্যাশা পূরণ সহায়ক হবে। সদা হাস্যোজ্জল এই উদীয়মান এ নেত্রীকে এলাকাবাসীও চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়। জনপ্রিয়তা ও জনসমর্থন সব ক্ষেত্রেই সম্ভব্য অপরাপর প্রার্থীরা বিউটি সিকদার কোন অংশে পিছিয়ে নেই। জনপ্রিয়তা ও জনসমর্থন শীর্ষে রয়েছেন এ নেত্রী।
তার বড় শক্তি সাংগঠনিক কারিশমা ও জনগনের ভালবাসা। পারিবারিকভাবে আ’লীগ ঘরনার সন্তান। যা থেকে জনসমর্থন আদায়ে সহায়ক হওয়ায় এবার আ’লীগের যুক্তসই প্রার্থী হিসেবে তাকে ভাবা হচ্ছে। তিনিও এগিয়ে যাচ্ছেন লক্ষ অর্জনে। রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও শুক্তাগড় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন এ নেত্রী।
বিউটি সিকদার এ প্রতিবেদককের সাথে আলাপকালে বলেন, তার নেতা ও রাজনৈতিক অভিভাবক আমির হোসেন আমু এমপি মহোদয় । সুতরাং তার নির্দেশনার বাইরে তিনি কিছুই করতে নারাজ। তার আর্শিবাদ নিয়েই নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন, এমনটি দাবি করে বলেন- বিগত সময়ে দলীয় প্রতিটি প্রোগ্রামে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে সামাজিক সংগঠন ও এলাকার সাধারণ মানুষের কল্যাণ্যে কাজ করে জনগনের আস্থার প্রতিক হিসাবে পরিচিতি পেয়েছেন এবার মনোনয়ন বঞ্চিত হবেন বলে আশাবাদী।
তিনি দল এবং আদর্শচ্যুত হননি। ফলে তার প্রার্থিতার যৌতিকতা আছে। এখন মূল্যায়নের পালা। সেই অপেক্ষায় ধর্য্য ধারন করে এবার মাঠে নেমেছেন অন্তত ত্যাগের মূল্যায়নে নৌকার মাঝি হতে, সেটা হতে পারে এবারকার আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শুক্তাগড়ে।