বয়স আর নামে আটকে নেই বাঁধন। বয়স যাই হোক বা যে নামেই মানুষ তাকে চিনুক, বাঁধন চান ভালো কাজ করতে। নিজেকে ভেঙে হরেক রকমের চরিত্রে অভিনয় করতে। পুরো নাম আজমেরী হক বাঁধন হলেও দেশে তিনি বাঁধন নামেই পরিচিত। রেহানা মরিয়ম নূর সিনেমা মুক্তির পর ‘রেহানা’ খ্যাত হয়েছেন।
এখন নেটফ্লিক্সের প্রজেক্ট ‘খুফিয়া’ নিয়ে আলোচনায় আছেন। বিশাল ভরদ্বাজের পরিচালনায় এ সিনেমায় বাংলাদেশি এক নারীর চরিত্রেই দেখা যাবে তাকে। এ ছাড়া কাজ করছেন দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। আজ এ অভিনেত্রীর জন্মদিন। উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে ৪০-এ পা দিলেন বাঁধন। বিশেষ এই দিনটি উদযাপন করছেন তিনি মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে।
বাঁধনের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ, তবে তার জন্ম ঢাকায়। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ থেকে দন্ত চিকিৎসা বিষয়ে বিডিএস পাস করেন এবং ২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার রানার আপ হন।
এরপর থেকেই তিনি অভিনয় জগতে কাজ শুরু করেন। নাটকেই তাকে বেশি দেখা গেছে। ক্যারিয়ারজুড়ে তার অনেক চড়াই-উতরাই। কাজ করতে করতে নিজের অজান্তেই ম্লান হয়ে গেছেন। কিন্তু হতাশ হননি। বারবার নতুন উদ্যমে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
জন্মদিন উপলক্ষে অভিনেত্রী ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন নিজের উপলব্ধির কথা। জানিয়েছেন, তিনি জানেন জীবনে এবং নিজের কাছে কী চান।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তিনি লেখেন, ‘‘আজ আমার জন্মদিন। আমার জন্ম ১৯৮৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকায়। যদিও আমি ৩৯ বছর ধরে আছি, কিন্তু আমার জীবন শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে, যখন আমি সমাজ এবং আমার পরিবার দ্বারা সংজ্ঞায়িত ‘আদর্শ নারী’ হিসেবে আমার আত্মপরিচয় হারিয়েছিলাম!’’
বাঁধন এখন জানেন তিনি জীবনে এবং নিজের কাছে কী চান। বলেন, ‘২০১৭ এর পর ৫ বছর হয়ে গেছে এবং এখন আমি জানি জীবনে এবং আমার কাছে কী চাই, এটাই চূড়ান্ত শান্তি। আমি বিশ্বাস করি, এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন জিনিসটি হলো শান্তি, বিশেষ করে যখন আমাদের চারপাশের সমাজ ও ব্যবস্থা আমাদের তথাকথিত সংস্কৃতি দ্বারা কলুষিত ও দূষিত। অনুপযুক্ততা, লোভ, বিভ্রান্তি, হতাশা, কখনও কখনও নিষ্ঠুরতা আমরা গ্রহণ করি এবং অফার করি।’
তবে নিশ্চিতভাবে বাঁধন এখন অনেক বেশি খুশি বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ আমি উপভোগ করি। সবচেয়ে ভালো দিক হলো, এখন আমি নিজেকে, আমার জীবন এবং আমার জার্নি নিয়ে ভালো বোধ করি।’
ভুল না বোঝার কথা জানিয়ে বাঁধন বলেন, ‘আমি খুব ভালো করেই জানি যে, জীবন গোলাপের শয্যা নয়। আমাদের বেঁচে থাকতে হবে এবং আরও ভালোর জন্য নিজেদের তৈরি করতে হবে।’
লেখার শেষে বাঁধন তার মায়ের জন্য সবার কাছে প্রার্থনা প্রত্যাশা করেন। কারণ তার মায়ের ডেঙ্গু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা তার স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। তিনি আমাদের পাওয়ার হাউস।’