সাংবাদিককে হুমকি দিয়ে বিপাকে হিরো আলম

স্থানীয় এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে থানায় জিডি হয়েছে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগের তদন্তে হিরো আলমকে ডাকা হয়েছিল থানায়।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে নন্দীগ্রাম থানায় যান তিনি। এসময় তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা জিডি দায়েকারী স্থানীয় সাংবাদিক এমদাদুল হককেও এদিন ডেকেছিলেন। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে দুজনের বক্তব্য আলাদাভাবে শোনা হয়।

যোগাযোগ করা হলে হিরো আলম বলেন, ‘আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমি থানায় এসেছিলাম। আমার বক্তব্য আমি দিয়েছি। পুলিশ কর্মকর্তারা আমাদের বক্তব্য শুনে বলেছেন দু’জনেরই মিসটেক আছে।’

নন্দীগ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক এমদাদুল হক জানান, তিনি ‘আলোর পথ’ নামে একটি অনলাইন পোর্টালের বার্তা সম্পাদক। চলতি বছরের ২৭ জুলাই তিনি তার ওই পোর্টালে তিনি ‘হিরো আলমকে শেষ বার্তা দিলেন নুসরাত’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করেন।

এমদাদুল হক অভিযোগ করেন, ওই খবরটি দেখার পর হিরো আলম আমাকে ফোন করে গালিগালাজ করে এবং খবরটি প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। তাতে রাজি না হলে তিনি আমাকে হুমকি দেন। তখন নিরাপত্তা চেয়ে আমি ৩০ জুলাই নন্দীগ্রাম থানায় একটি জিডি দায়ের করি। বুধবার থানা থেকে ওই জিডির বিষয়ে আমাকে ডাকা হয়। তবে আমি জানতাম না যে হিরো আলমকেও ডাকা হয়েছে।

পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা এটিএম রফিকুল ইসলাম এবং নন্দীগ্রাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন আমার কাছে অভিযোগের প্রমাণ দেখতে চান। আমি আমার কাছে থাকা প্রমাণগুলো তাদের কাছে উপস্থাপন করি।’ সাংবাদিক এমদাদুল দাবি করেন, হিরো আলম তাকে সমঝোতার প্রস্তাব দেন। কিন্তু তিনি তাতে সাড়া দেননি। তিনি বলেন, আমি বলেছি আইন অনুযায়ী যা হবে তাই আমি মেনে নিব।’

তবে হিরো আলম সমঝোতা প্রস্তাব দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। রাতে তিনি বলেন, ‘না আমি উনাকে (এমদাদুল হক) কোনো সমঝোতার প্রস্তাব দিইনি।’ হুমকি প্রদানের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তিনি সাংবাদিক হিসেবে নিউজ করতেই পারেন। কিন্তু তিনি ওই নিউজের সঙ্গে আমার মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করেছেন। এটা তিনি করতে পারেন না। এটিই তাকে ফোন করে বলেছিলাম। আর তিনি এটাকে অন্যভাবে নিয়েছেন।’

জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা এটিএম রফিকুল ইসলাম বলেন, “মীমাংসা করতে ডাকা হয়নি। সাংবাদিকের জিডির বিষয়ে তদন্তের স্বার্থে হিরো আলমকে থানায় ডেকেছি।”

এ সময় নন্দীগ্রাম পৌরসভার মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনিছুর রহমান, নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম দয়া, থানার এসআই বিকাশ চক্রবর্ত্তী, জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা এটিএম রফিকুল ইসলাম ও সাংবাদিক আমিনুল ইসলামসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *