শাকিব-বুবলী দুই মেরুর বাসিন্দা, তাদের মধ্যে সম্পর্কটা আগের মতো নেই- দেশের শোবিজ অঙ্গনে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে এমন খবর!
এবার যেনো সেই খবরের সত্যতা মিলতে যাচ্ছে! বুবলীর সাথে সম্পর্কে যে ফাটল ধরেছে সেটা ইঙ্গিত দিলেন শাকিব নিজেই।
প্রথমসারীর একটি জাতীয় দৈনিকে শাকিব তার মন্তব্যে বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে কি নেই সেটা যারা সবকিছু দেখেও না দেখার এবং বুঝেও না বোঝার ভান করে, আমি সময়মতো তা সবাইকে বুঝিয়ে দেব!’
বিষয়টি নিয়ে রহস্য না করে শাকিব বলেন, অনেক সত্য চাইলেই সন্তানের (পুত্র শেহজাদ খান বীর) স্বার্থে প্রকাশ করতে পারি না। কারণ বাচ্চাটা বড় হচ্ছে। আমি চাই না আগামীতে তার মনে এ নিয়ে কোনো বাজে প্রতিক্রিয়া তৈরি হোক।
শাকিব খান বলেন, ‘আমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা পেয়েছি দুটি সময়। প্রথমত. করেনাকালে যখন একাকী ছিলাম, দ্বিতীয়ত. আবারও যখন নিঃসঙ্গভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেছি তখন। আমি সেই দিনগুলোতে একাকী থাকায় নিজের জীবনের ফেলে আসা দিনগুলো নিয়ে হিসাব করার অফুরন্ত সময় পেয়েছিলাম। তখন নিজের পেছনের জীবনের হিসাবনিকাশ করতে গিয়ে দেখলাম, না বুঝে অনেক ভুল করে ফেলেছি। বেশির ভাগ ভুল করেছি ভুল মানুষের সঙ্গে মিশে। মনে হচ্ছে সেই ভুলেরই খেসারত দিচ্ছি এখন। তাই জীবনের বাকি দিনগুলোতে আর কোনো ভুল মানুষের সঙ্গে মিশতে চাই না। আর কোনো ভুল করতে চাই না। ভুল করে মেশা সেই বাজে মানুষগুলোকে আর পাশে রাখতে চাই না। এখন থেকে শুধুই পজিটিভ ওয়েতে চলব।
সৃষ্টিকর্তা আমাকে এমন উচ্চাসনে উপবিষ্ট করার এবং আমার দর্শক-ভক্তরা আমাকে আকাশসমান ভালোবাসা দেওয়ার পরও আমি কেন ভুল পথে চলে আজ আমার কর্ম ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। এটিই এখন আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অনুশোচনা।
শাকিব কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে ভীষণ আবেগতাড়িত হয়ে ওঠলেও একসময় চোখের কোণে জমে ওঠা চিকচিকে অশ্রুবিন্দু মুছে নিয়ে আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে বলে ওঠেন, অনেক অপ্রাপ্তির মাঝেও আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি হলো আমার দুই প্রাণপ্রিয় সন্তান আবরাহম খান জয় ও শেহজাদ খান বীর। আমি আমার এ দুই আদরের সন্তান ও যেসব মানুষ, যারা আসলেই আমাকে মনেপ্রাণে ভালোবাসে, পছন্দ করে, তাদের নিয়েই আগামীর পথে এগোতে চাই।