ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বিদ্যুতের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ের কারণে লাইন বিচ্যুত হয়ে এখনও ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুতহীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে এ সংক্রান্ত সংবাদ ব্রিফিং এ তথ্য জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপকভাবে আঘাত করেছে। বিশেষ করে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে আঘাত করেছে। বিদ্যুতের অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ট্রান্সমিশনে খুব ক্ষতি হয়নি, ক্ষতি হয়েছে ডিস্ট্রিবিউশনের ক্ষেত্রে। সেখানে গাছ উপরে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। অনেক স্থানে পুল ভেঙে গেছে। সবচেয়ে বিপদ হলো যেখানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে সেসব এলাকায় আমাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে হয়েছে। কারণ দুর্ঘটনার শংকা থাকে।
নসরুল হামিদ জানান, বিতরণ সংস্থা আরইবি’র আওতায় ৬০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন, বিপিডিপিতে ৭ লাখ গ্রাহক, ওজোপাডিকোর আওতায় ৬০ হাজার গ্রাহক এবং নেসকোতেও কিছু সংখ্যক গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। লাইন ঠিক না করা পর্যন্ত সেসব এলাকায় বিদ্যুৎ দেওয়া যাবে না।
তবে নসরুল হামিদ আশা প্রকাশ করে বলেন, বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকা গ্রাহকদের মধ্যে ৭০ শতাংশ আজ বিকেল নাগাদ সংযোগের আওতায় আসবেন। আর আগামীকাল বুধবারের মধ্যে পরিস্থিতি পুরোপুরি ঠিক হয়ে যাবে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানে। মূল কেন্দ্র উপকূলে আঘাত হানে রাত নয়টায়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি হয়।
ঝোড়ো বাতাসে অনেক জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন লাইনের ক্ষতি হয়। অনেক এলাকা বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ঘূর্ণিঝড়টি চলে যাওয়ার পর বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ ফিরতে শুরু করে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নোয়াখালী, ভোলা, বরিশাল ও কক্সবাজারসহ উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। সিত্রাংয়ে এ পর্যন্ত মোট ১১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন উপকূল ও নিম্নাঞ্চলের লাখো মানুষ।