চলচ্চিত্রজগতে ৩৯ বছরের ক্যারিয়ারে পাঁচ শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। একটা সময় শিডিউল ব্যস্ততায় হাতে অবসর সময় থাকত না। বছরের বেশির ভাগ সময় চলচ্চিত্রে অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন খালেদা আক্তার কল্পনা।
অভিনয় দিয়ে যেমন দর্শকদের মন জয় করেছেন, তেমনি সম্মাননা হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। গুণী এ অভিনেত্রী অনেকদিন পর ‘রাগী’ সিনেমা দিয়ে দর্শকদের সামনে সম্প্রতি হাজির হয়েছেন।
কেমন লাগছে ফিরে? কল্পনা বলেন, আনুমানিক ৪ বছর পর বড় পর্দায় হাজির হয়েছি। ধন্যবাদ জানাই আমার দর্শকদের যারা আমাকে আজও পছন্দ করেন। আমার অনেক শুভাকাঙ্খী ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং অনুরোধ করেছেন আমি যেন নিয়মিত বড় পর্দায় কাজ করি। আমাদের সময় যে রকম গল্প নিয়ে সিনেমা নির্মিত হতো এখন সিনেমার ধরন পাল্টে গেছে।
এদিকে অভিনয়ের বাইরেও খালেদা আক্তার কল্পনা লেখালিখিও করছেন নিয়মিত। ইতিমধ্যে তার লেখা বেশকিছু নাটক প্রচার হয়েছে।
সিনিয়র শিল্পীদের নিয়ে আমাদের এখানে কাজ তেমন হচ্ছে না। আপনি কি মনে করেন? এ অভিনেত্রী আক্ষেপ করে বলেন, শিল্পীরা সিনিয়র হলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে তারা অপ্রয়োজনীয় হয়ে ওঠেন। ডিজিটালের ভারে আমাদের মতো এনালগ শিল্পীরা কোণঠাসা। নির্মাতারাও নাটক-সিনেমায় আমাদের মতো সিনিয়র শিল্পীদের জন্য চরিত্র সৃষ্টি করছেন না। অথচ সিনেমার অভিনেত্রী হিসেবে যশ, খ্যাতি, সম্মান পেয়েছি অনেক। যেহেতু বর্তমান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা নাজুক তাই আমার ফিল্মের ব্যস্ততা নেই।
তিনি বলেন, দুঃখজনক আজকাল আমাদের সিনেমা-নাটকে মা-বাবার চরিত্রগুলো উধাও হয়ে গেছে। তারপরও ইতিমধ্যে আমি দু’টি ওয়েবে কাজ করেছি। সিঙ্গেল দু’টি নাটক করেছি। এর বাইরে রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠান করেছি।