দারাজে আসছে বছরের সবচেয়ে বড় সেল ক্যাম্পেইন

দেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ টানা পঞ্চমবারের মতো নিয়ে আসছে এর আইকনিক ১১.১১ ক্যাম্পেইন। এ ক্যাম্পেইন আগামী ১১ নভেম্বর শুরু হয়ে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।

আজ (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টালে ১১.১১ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বছরের বৃহত্তম বিক্রয় উৎসব ১১.১১ ২০২২ নিয়ে দারাজের পক্ষ থেকে ক্যাম্পেইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

দারাজের ১১.১১ ক্যাম্পেইনটি ক্রেতাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। ক্যাম্পেইন চলাকালে দারাজের ফ্যানরা তাদের কেনাকাটার চাহিদা মেটাতে পারবেন; বিশেষ করে এ ক্যাম্পেইনের সময় বিভিন্ন ছাড়, সুবিধা ও অফারের মাধ্যমে তুলনামূলক কম দামে কাঙ্খিত পণ্যগুলো কিনতে পারবেন ক্রেতারা।

চলতি বছর ক্রেতাদের কেনাকাটায় ভিন্নমাত্রা যোগ করতে দারাজ চমৎকার সব অফার নিয়ে এসেছে। এগুলো হলো- এক্সক্লুসিভ ভাউচার, বাজেট বাই, কাউন্টডাউন ডিল, অ্যাড-টু-কার্ট গিভঅ্যাওয়ে, প্রাইস স্ল্যাশ, মেগা ভাউচার, হট ডিল, ব্র্যান্ড-ফ্রি শিপিং, ফ্ল্যাশ পাজল চ্যালেঞ্জ, শেক শেক অফার সহ আরো অনেক কিছু!

এ নিয়ে দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, “২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য ই-কমার্স খাতের অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে। তাই, এ খাতের বিকাশে আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের ক্যাম্পেইন নিয়ে আসি। এ ধরনের ক্যাম্পেইনে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন ক্রেতা সম্পৃক্ত হয়, যা এ ই-কমার্স খাতের প্রবৃদ্ধিকেই প্রতিফলিত করে।”

ক্যাম্পেইন সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, “বছরের বৃহত্তম বিক্রয় উৎসব নিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের ব্যবসায়ীদের বেশ আগ্রহ থাকে। এ সময়ে তাদের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি হয়। টানা চার বছর ধরে আমরা এ ক্যাম্পেইনটি আয়োজন করছি। তবে, এবারের আয়োজনটি একটু ব্যতিক্রম। এ বছর আমাদের এ ক্যাম্পেইনটি ১১ দিন ধরে চলবে। এ ক্যাম্পেইনের স্পন্সর, পেমেন্ট ও ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে যারা আছেন, তাদের আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”

এ বিষয়ে দারাজের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) এএইচএম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো বলেন, “দারাজ মূলত টেকসই ই-কমার্স তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে, যা স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রাকে ত্বরাণ্বিত করবে। ১১.১১ এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স সেলস ক্যাম্পেইন, তাই আমরা ব্যবসার পাশাপাশি কমপ্লায়েন্স ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে বেশি জোর দিয়েছি। দারাজ সবসময়ই ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে কাজ করে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাত্রা করার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ তৈরিতে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি আমরা। এছাড়াও, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি তৈরিতে নিরলস কাজ করে যাছে দারাজ, যা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। একটি ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরি করতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *