বড্ড লাজুক স্বভাবের মেয়ে কোয়েল মল্লিক। যদিও যারা তাকে পর্দায় দেখেন তারা বুঝতে পারবেন না। ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেই হয়ে যান অন্য মানুষ। নিজের এক মুখচোরা স্বভাবের জন্য কী কী কেলেঙ্কারি হয়েছিল তার দু-একটা গল্পও বলেছিলেন তিনি। সম্প্রতি বনি সেনগুপ্তর সঙ্গে আড্ডার ফাঁকে আরও এক মজার ঘটনা তুলে ধরলেন কোয়েল।
অবশ্য এখন মজা লাগলেও সে সময়ে ভয়ে বুক শুকিয়ে গিয়েছিল কোয়েলের। তখনও তিনি অভিনেত্রী হননি। সবেমাত্র সপ্তম-অষ্টম শ্রেণিতে পড়েন। তখনি নিজের গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে প্রেম প্রস্তাব পেয়েছিলেন কোয়েল। ব্যাপারটা প্রথমে ফাঁস করেন বনি। শুনে তো কোয়েল অবাক। তারপর তিনিই জানান গোটা বিষয়টা।
তিনি যখন সপ্তম-অষ্টম শ্রেণিতে, তখন তার গৃহশিক্ষক সবে কলেজ পাশ করেছেন। চাকরির খোঁজে রয়েছেন। তখনি কোয়েলকে বিজ্ঞান পড়ানোর ভার পান তিনি। একদিন কোয়েলকে পড়াতে এসে গৃহশিক্ষক বলেন, একটা কথা বলার রয়েছে তার। তবে তার আগে সেদিনের পড়াশোনা শেষ করে নিতে হবে। নয়তো নাকি পড়াটাই নষ্ট হয়ে যাবে।
কোয়েল ভেবেছিলেন নতুন চাকরি পেয়েছেন গৃহশিক্ষক, সেই সুখবরটাই দেবেন। কিন্তু পড়া শেষে তাকে চমকে দিয়ে ওই ‘থ্রি ম্যাজিকাল ওয়ার্ডস’ বলে বসেন শিক্ষক। আর বলেই সোজা নীচে নেমে যান। এদিকে কোয়েলের ভয়ে মুখ সাদা। অন্যদিন শিক্ষকের সঙ্গে তিনিও নীচে নেমে আসতেন। কিন্তু সেদিন ভয়ের চোটে নামতেই পারেননি।
এরপর শিক্ষক চলে যেতেই কোয়েল তার মা-কে সবটা বলে দিয়েছিল। সেদিনের ঘটনা জানার পর থেকে কোয়েলের মা আর সেই শিক্ষককে পড়াতে আসতে দেননি। তবে কোয়েল আরও জানান, এ বিষয়ে তার বাবার সঙ্গে আর কোনো কথা হয়নি। তবে তার মা নিশ্চয়ই তার বাবাকে বলেছিল।
স্বামী, বাচ্চাকে নিয়ে সানন্দে সংসা করে যাচ্ছেন, সেই সঙ্গে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন টালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। বাংলার পাশাপাশি ওড়িয়া সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন কোয়েল। প্রেমী নম্বর ১ এবং মহানায়ক নামের দুটি ওড়িয়া ছবিতে অভিনয় করেছেন।