অনভ্যাসে বিদ্যা হ্রাস পায়; আমারও বিদ্যা হ্রাস পেয়েছে— বরেণ্য অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের সহজ-সরল স্বীকারোক্তি। দীর্ঘদিন ধরে আছেন অভিনয়ের বাইরে। আপাতত রাজনীতির মঞ্চেই তার সরব উপস্থিতি। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শাজাহান খানের গল্প অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে নতুন সিনেমা ‘জয় বাংলা ধ্বনি’। এতে শম্ভু রাজাকারের চরিত্রে অভিনয় করবেন ‘বাকের ভাই’ খ্যাত এই অভিনেতা।
তবে এই নেতিবাচক চরিত্রটি কেন বেছে নিলেন? আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বরাবরই আমার নেতিবাচক চরিত্রের প্রতি আগ্রহ ছিল। এর গল্প শুনে মনে হলো করা যায়। খুবই ইন্টারেস্টিং লাগল। তাই কাজটির সঙ্গে যুক্ত হওয়া। অন্যদিকে এ ছবিতে আসার পেছনের গল্প মূলত শাজাহান ভাই। যিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা, তার আবেগ দিয়ে, অভিজ্ঞতা, দেশপ্রেম দিয়ে তিনি একটি ইতিহাসকে ধারণ করার চেষ্টা করেছেন তার কাহিনির মধ্য দিয়ে। সে কারণে তার যে অনুরোধ, সেটা রাখাটা আমার জন্য অনিবার্য হয়ে পড়ে। আগে যেমন নিয়মিত অভিনয় করতাম, সেই সময়কার দক্ষতা এখন অনেকটাই হারিয়ে গেছে। তবুও আমার সবটুকু চেষ্টা করব। ১ নভেম্বর থেকে আমার ডেট দেওয়া হয়েছে। শুটিং হবে ফরিদপুরে।
অভিনয় কমিয়ে দেওয়ার কারণ কী? তিনি বলেন, আমরা যারা রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছি, আমাদের ব্যক্তিগত জীবনটি তেমন নির্ঝঞ্ঝাট নয়। সে কারণেই হয়তো আমি অভিনয় অনেক কম করি বা করি না বললেই চলে। দীর্ঘদিন অভিনয় না করার ফলে, যেটা বলা হয় অনভ্যাসে বিদ্যা হ্রাস পায়। আমারও বিদ্যা হ্রাস পেয়েছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই।
নূর বলেন, আমি নিয়মিত অভিনয় করতে চাই, তবে ভালো গল্পের স্ক্রিপ্ট হতে হবে। আমার কাছে অনেকেই স্ক্রিপ্ট নিয়ে আসে; কিন্তু গল্প পছন্দ হয় না। গল্প ও নির্মাণ ভালো হলে করতে সমস্যা নেই। আগে প্রচুর একক নাটকেও অভিনয় করেছি। এখন অবশ্য ধারাবাহিকে অভিনয় করতে চাই না। একক হলে করব। ভালো গল্পের ওয়েব-সিরিজ হলেও করতে অসুবিধা নেই। ভালো গল্প ও নির্মাণ ভালো হলে চলচ্চিত্রও নিয়মিত করা যায়।
৩১ অক্টোবরে ৭৬ বসন্তে পা দেবেন। ছোটবেলার জন্মদিন উদযাপন কীভাবে হতো? আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আমাদের ছোটবেলায় জন্মদিন হতো না। যতটুকু মনে পড়ে, বাড়িতে একটু ভালো রান্নাবান্না হতো। কাউকে দাওয়াত করা বা ঘটা করে কিছু করা হতো না। আর আমি সর্বদা জন্মদিনের আয়োজন অ্যাভয়েড করে গেছি। ছিয়াত্তর বছর বেঁচে থাকাও তো একটা বিশাল ব্যাপার!