ওই ধরণের গল্প আমি বানাতে চাই না: নুহাশ হুমায়ূন

রবিউল ইসলাম রুবেল: বর্তমানে তরুণ নির্মাতাদের মধ্যে অন্যতম নুহাশ হুমায়ূন। যুক্তরাষ্ট্রের ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও কাজ করছেন তিনি। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার ‘ফরেনার্স অনলি’ ও ‘মশারি’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। নির্মাণ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

প্রশ্ন: শুরুতেই ‘ফরেনার্স অনলি’ নিয়ে জানতে চাই?

নুহাশ হুমায়ূন: বাংলাদেশের কিছু বাড়িতে দেখা যায় যেখানে শুধু বিদেশিদের ভাড়া দেওয়া হয়। শুধু বিদেশি নয়, যাদের সাদা চামড়া তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। একজন বাঙালি যে কিনা একটা বাসা খুঁজছে কিন্তু বিভিন্ন কারণে সে পাচ্ছে না। কারণ ফরেনার্সদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমরা যেমন বিদেশিদের দেখলে মুগ্ধতার মধ্যে থাকি, সেটা নিয়েই ‘ফরেনার্স অনলি’ গল্পটা সাজানো। আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেলেও এখানে আর্টিস্ট ক্রু সবকিছু দেশের। এমনকি শুটিংও বাংলাদেশে হয়েছে।

প্রশ্ন: আপনার ‘মশারি’ স্বল্পদৈর্ঘ্যটি বিভিন্ন ফেস্টিভ্যালে পুরস্কার জিতেছে। দর্শকরা দেখার সুযোগ পেয়েছে। এ বিষয়ে বলুন।

নুহাশ হুমায়ূন: ‘মশারি’ আমার কাছে বিশেষ একটি কাজ। এরই মধ্যে বিশ্বের ২০টি উল্লেখযোগ্য ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শন হয়েছে। এই ছবি দেখেই হুলু কর্তৃপক্ষ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। অনেক দিন থেকে সবাই আমাকে জিজ্ঞেস করছিল ‘মশারি’ কবে দেখতে পারবে। প্রথম থেকে ইচ্ছা ছিল ‘মশারি’ পেইড কনটেন্ট হিসেবে না দিয়ে ফ্রি করে দিতে। সেটাই করতে পেরেছি।

প্রশ্ন: হরর গল্পের প্রতি দুর্বলতার কারণ কী?

নুহাশ হুমায়ূন: আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে হরর গল্পের সম্পর্কটা অনেক আগে থেকেই। এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের সাহিত্য আছে, জীবনের অনেক গল্পও আছে। স্ক্রিনে তেমন একটা দেখা যায় না। এই কারণেই স্ক্রিনে হরর গল্প নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা।

তবে বলব না আলাদা কোনো দুর্বলতা আছে। আমি অনেক ঘরানার কাজ করেছি। আমার ভালো লাগে বিভিন্ন ঘরানার মধ্যে নিজেকে খুঁজে বের করা। আর ‘ফরেনার্স অনলি’কে আমি পুরোপুরি হরর বলব না। এটাকে বলি ‘স্যাটায়ার থ্রিলার’।

প্রশ্ন: কাজের স্বীকৃতি কেমন লাগে?
নুহাশ হুমায়ূন: কাজের স্বীকৃতি আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। বাংলাদেশ থেকে যে গল্পগুলো বাইরে যায় ওই ধরনের গল্প আসলে আমি বানাতে চাই না। বানানোর সময় পুরস্কারের জন্য বানাচ্ছি, এটা ভাবিনি।

প্রশ্ন: নির্মাণ নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
নুহাশ হুমায়ূন: ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ফিল্ম ও দেশ-বিদেশের জন্য কন্টেন্ট বানাব। আমি চাই আমাদের গল্পকে যত বেশি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া যায়।

যেমন ‘ফরেনার্স অনলি’ থেকে বাইরের দেশও বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পারছে। আমি বাংলাদেশ থেকে প্রথম কাজ করলাম হুলুতে। এর ফলে বাংলাদেশের কাজ সম্পর্কে তাদের ধারণা হলো। পরবর্তী সময়ে দেশের অন্য নির্মাতার জন্য পথটা সহজ হয়ে গেল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *