১০০ দিন পার করল ‘পরাণ’। মাল্টিপ্লেক্সসহ দেশের ১১টি প্রেক্ষাগৃহে এখনো সগৌরবে চলছে ছবিটি। টানা ১০০ দিন দাপটের সঙ্গে চলা, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকাই চলচ্চিত্রে ব্যতিক্রমী উদাহরণ। সে বিচারে এটি একটি রেকর্ড। ১০০ দিনে এসে ছবিটি থেকে আয়ের একটা মোটামুটি হিসাব পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশে বক্স অফিস হিসাব এখনো ঠিকঠাক পাওয়া যায় না। ছবি মুক্তির পর থেকে প্রতিদিনের বা প্রতি সপ্তাহের আয়ের বিষয়টি দর্শক তো দূরের কথা, খোদ ছবির শিল্পী, পরিচালকেরাও জানতে পারেন না। ছবির পরিবেশক বা প্রযোজকেরা প্রকাশ করেন না।
কিন্তু এবার কিছুটা ব্যতিক্রম ঘটেছে—দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলো থেকে যতটুকু হিসাব হাতে এসেছে, তাই দিয়ে আয়ের একটা ধারণা দিয়েছে ছবিটির প্রযোজক ও পরিবেশক সংস্থা।
ছবির পরিবেশক সংস্থা অভি কথাচিত্র সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি করেছে পরাণ। শুধু মাল্টিপ্লেক্সগুলোতেই এই সিনেমার ১০ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্সে, যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাস, লায়ন সিনেমাস ও চট্রগ্রামের সিলভার স্ক্রীন।
পরিবেশক জানিয়েছেন, এখনো সিনেপ্লেক্সের পাঁচ শাখায় প্রতিদিন দশটি, ব্লকবাস্টার সিনেমাসে তিনটি, লায়ন সিনেমাস ও চট্টগ্রাম সিলভার স্ক্রিনে দুটি করে শো চলছে। সিনেপ্লেক্সে এখনো প্রতিদিন কিছু শো হাউসফুল যাচ্ছে। ঢাকার বাইরেও কয়েকটি একক হলে চলছে পরাণ। এ অবস্থায় দেশের প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি আরও কত দিন চলবে, নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল।
পরাণ সিনেমাটির নির্মাণ ব্যয় ৮৫ লাখ টাকা বলে জানিয়েছিলেন প্রযোজনা সংস্থা।
গত ১০ জুলাই দেশের ১১টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে সিনেমাটি এখনো বিভিন্ন হলে প্রদর্শিত হচ্ছে। দেশের বাইরেও সিনেমাটি আলোচিত ও ব্যবসাসফল হয়েছে।
‘পরাণ’-এর এই সাফল্যে বেশ উচ্ছ্বসিত মিম। সেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, “খুবই ভালো লাগছে। কেননা এতদিন ধরে হলে চলছে এবং সেটা সফলতার সঙ্গে অর্থাৎ হাউজফুল চলছে সিনেমাটি। এর আগে হয়ত অনেক ছবি এরকম থাকতে পারে কিন্তু এরকম দর্শকপ্রিয়তা, ব্যবসাসফল হয়ত ছিল না। আমি মনে করি ‘পরাণ’ একটি ইতিহাসের নাম।”
সেঞ্চুরি হাঁকিয়েও অপরাজিত আছেন মিম। লক্ষ্য কি ডাবল সেঞ্চুরি— উত্তরে মিম বলেন, “তা তো বলতে পারছি না, তবে হ্যাঁ, আশা করছি আরও অনেকদিন প্রেক্ষাগৃহে থাকবে ‘পরাণ’-এর ঢেউ।”
সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘পরাণ’। কেন্দ্রিয় চরিত্রগুলোর একটিতে অভিনয় করেছেন মিম। এতে তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন শরিফুল রাজ ও ইয়াশ রোহান। ছবির প্রযোজক লাইভ টেকনোলোজিস। রায়হান রাফী নির্মিত এই চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য করেছেন শাহাজাহান সৌরভ ও রাফী নিজেই।
সিনেমাটির আয় নিয়েও খুব সন্তুষ্ট মিম। তিনি বলেন, ‘রিপোর্টে উঠে এসেছে ১৫ কোটি টাকা। আরও অনেক জায়গার রিপোর্ট এখনও আসেনি। এলে আরও বাড়বে। আর বাজেটের তুলনায় ১৫ কোটিই তো অনেক।’