মোঃমনির মন্ডল, নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার- আশুলিয়ায় পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে নজরুল ইসলাম নামের এক চায়ের দোকানিকে লোহার রড দিয়ে মারধর করে আঙুল ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী দোকানি নজরুল ইসলাম।
অভিযুক্তরা হলেন, আশুলিয়ার পানধোয়া এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে কামরুল ইসলাম নয়ন (২৮) ও সাইফুল ইসলামের ছেলে নিলয় (২২) সহ অজ্ঞাত আরও দুই থেকে তিনজন। এরমধ্যে কামরুল ইসলাম নয়ন পাথালিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ওউ এলাকার চা বিক্রেতা নজরুল ইসলাম। বিভিন্ন সময় নয়ন ও তার সহযোগী দোকানে খেলেও টাকা দিতো না। ফলে অনেক টাকা বকেয়া হওয়া দোকানি টাকা চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উল্টো চায়ের দোকানে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে চাঁদা দাবি করেন কামরুল ইসলাম নয়ন। চাঁদার টাকা দিতে রাজি না হলে গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তার দোকানের ক্যাশে থাকা অনুমান ৫ হাজার টাকা ও ১০ হাজার টাকার সিগারেট লুট করে। পরে তাকে ওই এলাকার একটি কক্ষে আটকে রেখে লোহার রড় দিয়ে হাতে পায়ে ও পিঠে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় তার ডান পায়ের গোড়ালিতে পিটিয়ে হাড় ভেঙে ফেলে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মাহির উদ্দিন জানান, তাকে মারধর করেছে এটা সত্যি, কিন্তু প্রাথমিকভাবে চাঁদা দাবির কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে মারধর করা হয়েছে। তবে তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা জেলা উত্তর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক সায়েম মোল্লা জানান, যদি অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত থাকে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নয়ন ও তার সহযোগিতাদের বিরুদ্ধে আশুলিয়ার পানধোয়া এলাকায় পূর্নতা জুয়েলার্স নামে দোকানে লুটপাট, চাঁদাবাজি ও স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা রয়েছে।