কিছুদিন ধরে ‘টক অব দ্য টাউন’ শাকিব খান। ঢালিউডের এই কিং খান দীর্ঘদিন ধরে কাজ দিয়ে না হলেও ব্যক্তি জীবন দিয়ে আলোচনায় এসেছেন ঠিকই। গোপনে বিয়ে-সন্তান-বিচ্ছেদ এ তিনটি শব্দ পিছুই ছাড়ছে না ঢালিউড কিংয়ের।
অপু বিশ্বাস, বুবলীর পর সেই তালিকায় নাম যুক্ত হয়েছে এ প্রজন্মের নায়িকা পূজা চেরীরও। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে জোর আলোচনা।
তবে এ ধরনের গুজবের জন্যে তিনি আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন দেশীয় চলচ্চিত্রে তার কি কোনো অবদান নেই?।
একটি সংবাদমাধ্যমকে শাকিব বলেছেন, দুঃখ হয়, আজ আমার ব্যক্তিগত বিষয়কে পুঁজি করে আমার কিছু গোপন শত্রু আমার ব্যক্তি ও ফিল্মি ইমেজ ধ্বংসে ওঠে পড়ে লেগেছে। তারা আসলে অনেক আগেই চলচ্চিত্র জগৎ থেকে আমাকে হটিয়ে দেওয়ার নীলনকশা করে রেখেছিল। কিন্তু আমার দর্শক চাহিদার কারণে তাদের মিশন তারা সফল করতে পারেনি। শুধু দেশে নয়, বিদেশের মাটিতেও আমি আমার দেশের ছবি নিয়ে সম্মানের সঙ্গে প্রতিনিধিত্ব করে আসছি।
তিনি বলেন, দেশীয় চলচ্চিত্রকে আবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। প্রায় তিন দশক ধরে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে সমৃদ্ধ কাজ দিয়ে পূর্ণতা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এসব আমার বানোয়াট কথা নয়। চলচ্চিত্র নিয়ে আমার বিরামহীন মিশন দিবালোকের মতো সত্য।
শাকিব বলেন, এমনও সময় গেছে চলচ্চিত্রের কাজ দিয়ে আমাদের বিধ্বস্তপ্রায় চলচ্চিত্র জগতের প্রাণ ফেরাতে কোনো বিরাম বিশ্রাম ছাড়াই দিনের পর দিন কাজ করে গেছি। এমন কী ঈদেও শুটিংয়ে ব্যস্ত থেকেছি। আমি জানতে চাই, দেশের প্রধান গণমাধ্যম চলচ্চিত্রের জন্য আমার এই পরিশ্রমের কি কোনো মূল্য নেই।
কিং খান বলেন, প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত একটি জীবন থাকে। আমারও আছে। আমার প্রেম-বিয়ে-সন্তানের বিষয়টি একান্তই আমার ব্যক্তিগত বিষয়। এগুলো তো কেউ কখনো ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রকাশ করে না। তারপরও আমি সময় মতো সবার সামনে বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ করে সবার সঙ্গে আনন্দ শেয়ার করতে চেয়েছি। কিন্তু যাদের আমি বিয়ে করেছি তাদের ভুলেই বিষয়টি বারবার বাজেভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। যে কারণে অপুকে শেষ পর্যন্ত ডিভোর্স দিতে বাধ্য হয়েছিলাম।
শাকিব খান বলেন, আমি পরিষ্কার করে একটা কথা বলতে চাই, আমি আসলে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে পাবলিকের সামনে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না। তাই নিজে এসব বিষয় গোপন রেখেছিলাম। কিন্তু আমি তো অপু কিংবা বুবলীকে বিষয়টি গোপন রাখতে বলিনি। তারা কেন বিয়ে বা সন্তান জন্মের পরপরই সবাইকে তা জানায়নি। এটিও কি আমার অপরাধ। এখন আবার আমার গোপন শত্রুরা আরেক নায়িকাকে জড়িয়ে আমার নামে স্ক্যা ন্ডাল ছড়াচ্ছে। এসব বিষয়ে এখনো চুপ করে থাকা মানে নিজেকে দোষী সাব্যস্ত করা। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে আমার। এবার আইনের পথে হাঁটব। ষড়যন্ত্রকারীদের কাউকে আর ছাড় দেব না।