আর ঘাঁটাঘাঁটি করবেন না, আমি এ ঘটনায় সত্যি বিব্রত: অনন্ত

প্রযোজক ও অভিনেতা অনন্ত জলিল প্রথমবারের মতো নিজেদের প্রযোজনার বাইরে সিনেমা করতে যাচ্ছেন। অ্যাকশনভিত্তিক সিনেমাটির নাম ‘কিল হিম’। এটি নির্মাণ করবেন প্রযোজক ও পরিচালক এম. ডি ইকবাল।

গত ৩ সেপ্টেম্বর বিএফডিসিতে সিনেমাটির মহরত অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে অনন্ত জলিল কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেশের সাংবাদিকদের খাওয়ানোরে একটি গল্প বলেন। সেই বক্তব্যই সাংবাদিক মহলসহ আরও অনেক জায়গায় খারাপভাবে উপস্থাপিত হয়েছে বলে মনে করছেন এ অভিনেতা।

অনুষ্ঠানে অনন্ত জানিয়েছিলেন, দিন- দ্য ডে ও নেত্রী- দ্য লিডার সিনেমা দুটির ট্রেইলার প্রকাশনা ও প্রচারণার কাজে কানের মার্শে দ্যু ফিল্মে ছিলেন অনন্ত-বর্ষা। একপর্যায়ে বাংলাদেশ থেকে কান চলচ্চিত্র উৎসব কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের মধ্যে থেকে ১৪ থেকে ১৬ জনকে তিনি কান শহরের মার্টিনেজ হোটেলে দুপুরের খাবার খাইয়েছিলেন। যেখানে একেকজনের দুপুরের খাবার খরচ ৪০০ ইউরো।

তার বলা এ ঘটনাটি নিয়ে একশ্রেণির হলুদ সাংবাদিক হীনম্মন্যতার পরিচয় দিচ্ছে বলে মনে করেন অনন্ত। বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে অনন্ত জলিল লেখেন, ‘শুনেছি, আমার বক্তব্যের রেশ ধরে কানে যাওয়া স্বনামধন্য সাংবাদিকদের ট্রল করা হচ্ছে। এটা খুবই অন্যায়।’

তিনি আরও লেখেন, ‘আমি আবারও বলছি, কান শহরে যাওয়া সাংবাদিকরা আমার নিমন্ত্রণ পেয়ে এসেছিলেন। বাংলাদেশেও আমার নিমন্ত্রণে মহরতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অনেক সাংবাদিক আসেন। এসব আয়োজনেও আমরা খাওয়াদাওয়া করি। সুতরাং কানের ওই ঘটনা নিয়ে যারা ন্যক্কারজনকভাবে ঘাঁটাঘাঁটি করছেন, তারা সাধারণ একটি বিষয়কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।’

সংবাদকর্মীরা যদি তার কথায় আঘাত পেয়ে থাকেন সে জন্য অনন্ত আন্তরিকভাবে দুঃখিত উল্লেখ করে লেখেন, ‘কিল হিম সিনেমার মহরতে দেয়া আমার বক্তব্যে কান উৎসব কাভার করে আসা প্রিয় সংবাদকর্মীরা যদি আঘাত পেয়ে থাকেন সে জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি মন থেকে বলছি, আপনাদের মোটেও ছোট করার বিন্দুমাত্র উদ্দেশ আমার ছিল না। আপনারা নিজ নিজ উদ্যোগে কান উৎসবে গিয়েছেন, এটা আপনাদের অনেক বড় অর্জন। আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের নিজ নিজ যোগ্যতা না থাকলে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত কান চলচ্চিত্র উৎসবের মতো এমন আয়োজনে আপনারা যেতে পারতেন না। আপনাদের লেখালেখির সুবাদে আন্তর্জাতিক সিনেমার চিত্রটা আমরা জানতে পেরেছি। কানে আপনাদের দেখা পেয়ে আমি বরং আনন্দিত হয়েছি। অন্তত কিছুটা সময় বাংলা ভাষায় কথা বলতে পেরেছি।’

সতর্ক বার্তা দিয়ে অনন্ত লেখেন, ‘অনুরোধ নয়, হলুদ সাংবাদিকদের সবাইকে সতর্ক করে বলছি, এ বিষয়টি নিয়ে আর ঘাঁটাঘাঁটি করবেন না। আমি এ ঘটনায় সত্যি বিব্রত। সাংবাদিকরা আমার সব সময় পছন্দের কাতারে ছিলেন, আছেন, থাকবেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *