নজর টুয়েন্টিফোর- ঠাকুরগাঁওয়ে মুক্তারুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ২০ বছর ধরে শিকলে বন্দী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। মানসিক ভারসাম্যহীন এই ব্যক্তিকে অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে শিকলে বেঁধে রেখেছেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
পরিবার ও স্থানীয়রা বলছেন, প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা পেলে মুক্তারুলকে চিকিৎসা করে সুস্থ করা সম্ভব।
জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা ইউনিয়নের ভবানীপুর সল্লাপাড়া গ্রামের মুক্তারুল বিয়ের পর থেকেই হঠাৎ মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। কারণে অকারণে তিনি স্থানীয়দের সাথে ঝগড়া বিবাদ করেন। এতে লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন। অর্থাভাবে পরিবারের সদস্যরা তার চিকিৎসাও করতে পারে না। বাধ্য হয়ে পরিবারের সদস্যরা মুক্তারুলকে বাড়ির একটি গাছের সাথে শিকলে বেঁধে রাখে।
মুক্তারুলের স্ত্রী নাসেরা বেগম দিনমুজুরের কাজ করে কোনো রকমে সংসার চালায়। এভাবে পার হয়ে গেছে ২০টি বছর।
স্ত্রী নাসেরা বেগম জানান, সংসার চালাতে পরের বাড়ি আর দিনমুজুরের কাজ করতে হয় তাকে। তারপরে সেবা করতে হয়ে স্বামীর।
পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান, আমি মুক্তারুলকে আগে থেকেই চিনি। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে পাগল অবস্থায় শিকলে বন্দি রয়েছেন।