নজর২৪, বরগুনা- বরগুনা সদর উপজেলায় গাঁজাসহ ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মিরাজ গাজী প্রিন্স ও তার সহযোগী কাশেমকে আটক করে ১০ নম্বর নলটোনা ইউনিয়নের বাবুগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি। পরে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাতকড়াসহ পালিয়ে যান মিরাজ গাজী। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের প্রত্যাহার করা হয়।
প্রত্যাহার তিন পুলিশ সদস্য হলেন, সদর থানাধীন বাবুগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার দাস, একই কেন্দ্রে কর্মরত সহকারী পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সদস্য তৌহিদুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নের বাবুগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা গাঁজাসহ মিরাজ গাজী প্রিন্স (৩০) ও তার সহযোগী কাশেমকে (২৭) আটক করে বাবুগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র নিয়ে যান। এক পর্যায়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে মিরাজ গাজী হাতকড়াসহ পালিয়ে যান।
মিরাজ গাজী নলটোনা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি। তিনি আগাপদ্মা এলাকার কাঞ্চন গাজীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার দায়ে মঙ্গলবার দুপুরে দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ওই তিজনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। পরে ইন্সপেক্টর সঞ্জয় কুমার মজুমদারকে বাবুগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মফিজুল ইসলাম প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চি করে বলেন, প্রশাসনিক কারণে বাবুগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির তিন সদস্যকে নিয়ে আসা হয়েছে, বিষয়টির তদন্ত চলছে।
জানতে চাইলে বরগুনার সদর থানার ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম অরুণ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মিরাজকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য।’