বিনোদন ডেস্ক- টাঙ্গাইলের সখীপুরে মসজিদের সামনে চিত্রনায়িকা মুনমুনের নাচের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। উপজেলার পলাশতলী বাজার মসজিদের সামনে এ নাচের আসর বসানো হয়। নাচের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার চিত্রনায়িকা মুনমুনকে সখীপুর পৌরশহর ও স্থানীয় কিছু লোক উপজেলার পলাশতলীতে নৌকা ভ্রমনে নিয়ে যায়। ভ্রমণ শেষে বাজার মসজিদের সামনে সাউন্ড সিস্টেম বাজিয়ে নাচের আসর বসানো হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে সেই নাচের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, গানের তালে তালে চিত্রনায়িকা মুনমুন মসজিদের খুবই কাছে নাচ পরিবেশন করছেন। আর অনেকে সেই নাচ দেখছেন ও মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করছেন।
ভাইরাল হওয়ার পর গতকাল (সোমবার) আয়োজন কমিটির লোকজন উপজেলার ইমাম সমিতি এবং উলামাদের কাছে ক্ষমা চায়। একইসঙ্গে তারা আর এ ধরনের কোনো কাজ ভবিষ্যতে করবে না বলে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহ্র কাছে তওবা এবং অঙ্গীকার করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্রনায়িকা মুনমুন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘টাঙ্গাইলের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আমন্ত্রণে নৌকা ভ্রমণে গিয়েছিলাম। এক সময় নৌকা ভ্রমণের মাঝপথে আমরা এক জায়গায় সবাই খাওয়ার জন্য মিলিত হই। ওই জায়গাটা ছিল পরিত্যক্ত। সেখানে কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার আয়োজন করা হয়। খাওয়া শেষে আসরের পর অনেকের রিকোয়েস্টে সামান্য আমাকে নাচতে হয়। তবে মসজিদ লেখা সাইনবোর্ডটি আমি দেখিনি। যদি দেখতাম তাহলে ওখানে নাচ তো দূরের কথা বসে আড্ডাও দিতাম না। কারণ আমিও মুসলিম। আর আমি আমার ধর্মকে পালন করি।’
মুনমুন আরো বলেন, ‘আমার নাচের ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর আমি খোঁজ নেই। খোঁজ নেয়ার পর আমি জানতে পারি, যে জায়গাটায় আমরা ছিলাম, ওই জায়গাটা অনেক আগে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সেখানে মসজিদ ছিল। তাই স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে মসজিদ লেখা সাইনবোর্ড লাগানো ছিল। আমার সাথে সেখানে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। সেই স্থানে মসজিদ রয়েছে তারা অবশ্যই জানতেন। কিন্তু তারা তো নিষেধ করেন নি।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাকে যারা দাওয়াত দিয়ে নিয়েছেন তাদের রিকোয়েস্টে অল্প সময় নেচেছি। আর সেখানে কোনো অশ্লীল নাচ কিন্তু করেনি। যেটা নিয়ে অনেকে মাতামাতি করছেন। আমি জেনে শুনে তো আর মসজিদের মতো পবিত্র স্থানে নাচবো না। এই ভিডিও নিয়ে যারা মাতামাতি করছেন তাদেরকে বলবো এসব বন্ধ করুন।