অবশেষে নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার হলো টিএসসির সেই জিনিয়া

নজর২৪ ডেস্ক- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ফুল বিক্রি করা পথশিশু জিনিয়াকে নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটী থেকে উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার রাতে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এক তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মিশু বিশ্বাস। তিনি জানান, জিনিয়াকে ফুসলিয়ে ও নানা প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। কী উদ্দেশে শিশুটিকে নিয়ে গিয়েছিল তা আমরা জানার চেষ্টা করছি।

 

গত মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে সর্বশেষ জিনিয়াকে টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফটকে অপরিচিত দুজন নারীর সঙ্গে ফুচকা খেতে দেখেছিলেন তার মা সেনুরা বেগম। এরপর থেকে জিনিয়ার হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না।

 

অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরদিন বুধবার সেনুরা বেগম শাহবাগ থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। অবশেষে সোমবার দিবাগত রাতে মিষ্টি মেয়ে জিনিয়াকে উদ্ধার করলো পুলিশ।

 

ট্রাকচালক স্বামী দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর সাত বছর আগে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে তিন সন্তানকে নিয়ে টিএসসি এলাকায় আসেন সেনুরা বেগম।

 

দুই মেয়ে সিনথিয়া (৭), জিনিয়া (৯) ও ছেলে পলাশকে (১৭) নিয়ে টিএসসি বারান্দায় রাত কাটান তিনি। দিনের বেলা ফুল বিক্রি করে মায়ের সংসারে জোগান দেয় জিনিয়া ও সিনথিয়া। আর পলাশ এখন একটা চায়ের দোকানে কাজ করে।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বা টিএসসিতে যাদের আনাগোনা, তাদের অধিকাংশেরই চেনা মিষ্টি হাসির দুই শিশু সিনথিয়া-জিনিয়াকে।

 

জিনিয়া নিখোঁজের পরপরই তাকে ফিরে পাবার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। জিনিয়াকে খুঁজে পাওয়ায় আইনশৃংখলা বাহিনীকে ধন্যবাদ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। জিনিয়া নিখোঁজের পর তাকে ফিরে পাবার দাবি জানিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।

 

সাদ্দাম হোসেন বলেন, জিনিয়া নিখোঁজের বিষয়টি নিয়ে খুবই চিন্তিত ছিলাম এবং সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছি। যাতে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে পৌঁছে দেয়া যায়। জিনিয়া উদ্ধার হওয়ায় আমরা সবাই খুশি। প্রশাসনকে ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *