নজর২৪, সিলেট: সিলেট বিভাগজুড়ে সড়ক-মহাসড়ক যেন মৃত্যুকূপ হয়ে উঠেছে। বিভাগের কোথাও না কোথাও সপ্তাহে দু-একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটছেই।
সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) শুধু এক বিকেলেই সিলেটের সড়কে ঝরলো ৬টি তাজা প্রাণ। বিভাগের হবিগঞ্জে ও সিলেটে পৃথক দুটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এই ৬ জন মারা যান।
এদিকে, চালকদের অনিয়ন্ত্রিত ও বেপরোয়া গাড়ি চালনা এবং চালকদের অদক্ষতাকেই এসব দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়াও দুর্ঘটনার পর দোষী চালকদের শাস্তি না হওয়ায় সড়কে মৃত্যুর হার কমছে না বলেও বক্তব্য তাদের।
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের হবিগঞ্জের মাধবপুরে যাত্রীবাহি বাস ও পাজেরো জিপের মুখোমুখি সংঘর্ষেে যশোর বাঘারপাড় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ১ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতজন মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার নয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- যশোর বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম কাজল, ঢাকা তালতলা এলাকার সুমন মিয়ার মেয়ে আখিঁ আক্তার (২০), যশোর জেলার আরিফুল ইসলাম (৩৫)। বাকি ১ জন পুরুষের পরিচয় জানা যায়নি। আহত একজন হলো- মগফিরাত নওরিন (৩৫)।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ জানান- সিলেট থেকে ঢাকাগামী একটি পাজেরো জিপের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন।
খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিরকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে সেখানে আরও ২ জন মারা যান।
অপরদিকে, সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় বাসের চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। সোমবার শেষ বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের সামনে সিলেট অভিমুখী একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এসময় ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মোটরসাইকেলের অপর আরোহী মারা যান।
নিহতরা হলেন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের হাসামপুর গ্রামের সুনীল চন্দ্র দেবের ছেলে সুদীপ চন্দ্র দেব (২৩) ও ছব্দলপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মান্না আহমেদ (২৪)।