নজর২৪, ঢাকা- নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় এই প্রথম মামুন (৩০) নামের একজন ছাড়পত্র পেয়েছেন। তিনি আহতাবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তাকে হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। তার শরীরের ১৫ শতাংশ পোড়া ছিল।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, বিস্ফোরণে মামুনের শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তবে তার শ্বাসনালি দগ্ধ হয়নি। তাকে ২সপ্তাহ পর আবার ফলোআপ চিকিৎসার জন্য আসতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া কোনো সমস্যা দেখা দিলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ডা. সেন বলেন, বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩৭জনকে এখানে ভর্তি করা হয়েছিল। এদের মধ্যে ২৭জন মারা গেছে। আর এই প্রথম এক রোগীকে ছাড়া হলো। বাকি ৯ জন এখনো আইসিইউ ও পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে ছাড়পত্র পাওয়া দগ্ধ মামুনের ভায়রা মোসলেম উদ্দিন জানান, মামুনের বাবান নাম মৃত লতিফ। স্ত্রী রুবি বেগমকে নিয়ে তল্লা এলাকায় থাকতেন। তার বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপায়। নারায়ণগঞ্জে কাউসার গার্মেন্টস চাকরি করতেন তিনি।