লেবাননে তিনবেলা খাওয়ার পয়সা নেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের

প্রবাসের কথা ডেস্ক- লেবাননের বৈরুত বিস্ফোরণের পর দেশটির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অচলাবস্থা আরও প্রকট হয়েছে। বন্ধ হতে বসেছে শ্রমবাজার। মাসের পর মাস বেতন না পাওয়া, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও অর্থের মান কমে যাওয়ায় দেশটিতে থাকার আশা একেবারেই ছেড়ে দিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তবে দূতাবাস বলছে, প্রবাসীদের সব রকম সহায়তা করা হচ্ছে।

 

জানা যায়, গেল কয়েক বছর ধরেই নানামুখী সংকটে লেবাননের শ্রম বাজার। আগস্টের ভয়াবহ বিস্ফোরণ এ সংকটের কফিনে শেষ পেরেকটিও ঠুকেছে। দেশটিতে বাংলাদেশিদের বেশিরভাগেরই কাজ নেই। যাদেরও বা কাজ রয়েছে তারা এখন অনেক কম পারিশ্রমিক পাচ্ছেন। দেশে অর্থ পাঠানো তো দূরের কথা, নিজেই তিন বেলা খেয়ে-পরে থাকতে পারছেন না। এ অবস্থায় দেশে ফেরাকেই একমাত্র সমাধান দেখছেন তারা।

 

মাসের পর মাস বেতন না পাওয়া, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও অর্থের মান কমে যাওয়ায় ধস নেমেছে অর্থনীতিতে। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর বিভাজন ও ফ্রান্সসহ পশ্চিমা দেশগুলোর আধিপত্যেও সংকট আরও ঘোলা হয়েছে।

 

দেশটিতে দেড় লাখের বেশি বাংলাদেশি বাস। দূতাবাস বলছে, আগ্রহীদের দেশে পাঠাতে সাধ্য মতো কাজ চলছে। খাদ্যপণ্য ও জরুরি চিকিৎসা সামগ্রীর পর এবার বৈরুতের ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।

 

উল্লেখ্য, লেবাননের বৈরুতের বন্দর এলাকায় গত ০৪ আগস্টের ভয়াবহ বিস্ফোরণে ব্যাপক প্রাণহানিসহ বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ সময় বৈরুতের বিভিন্ন বাসভবন, কলকারখানা ও স্থাপনাসমূহের দরজা-জানালার গ্লাস ভেঙ্গে যায়। এ কারণে লেবানন সরকারের পক্ষ থেকে বৈরুতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের নিকট সহায়তা হিসেবে গ্লাস সামগ্রী চাওয়া হয়।

 

এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকার ও এফবিবিসিআইয়ের যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে জরুরিভিত্তিতে ৩ হাজার ৩৬০ কেজি গ্লাস সহায়তা হিসেবে লেবাননে প্রেরণ করা হয়।

 

এর আগে বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ হতে খাদ্যপণ্য ও জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী লেবাননে প্রেরণ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *