প্রবাসে একমাত্র ছেলের মৃত্যু, দেশে ঠিকাদারের গাফিলতিতে অসহায় বৃদ্ধের বাড়ি নদীগর্ভে

নজর২৪ ডেস্ক- এক ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে বয়স্ক অসহায় ব্যক্তির শেষ সম্বল ভিটা বাড়ি নদীগর্ভে বিলিনের পথে রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

মতলব পৌরসভার বরদিয়া আড়ং বাজারের দক্ষিনে সাবেক স্ট্রীলের ব্রীজ বর্তমানে নির্মানাধীন নতুন ব্রীজ সংলগ্ন খালের পশ্চিমপাড় মোবারকদতি গ্রাম এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটছে।

 

সরজমিনে জানা যায়, আলহাজ্ব ইলিয়াস ঢালী (৫৮) প্রায় চার বছর পূর্বে তার কর্মক্ষম একমাত্র সন্তান মাসুম প্রবাসে মারা যায়। সেখান থেকে কিছু টাকা পান তিনি। সেই টাকা দিয়ে চাঁদপুরের বিঞ্চুপুর হইত মোবারকদী মৌজার আড়ং বাজারের দক্ষিণে দিকে ব্রীজ সংলগ্ন খালেরপাড় জমি কিনে একটি বাড়ি তৈরি করে বসবাস করে আসছেন।

 

সম্প্রতি চাঁদপুর মতলব সড়কের আড়ংবাজার সংলগ্ন স্টীলের ব্রীজটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু করেন ঠিকাদার। ব্রীজটি করতে গিয়ে পশ্চিম পার্শ্বে খালে একটি বাঁধ দেয়া হয়। ব্রীজের কাজ শেষ হওয়ার পর খালের মাঝে করা বাঁধটি অপসারণ না করায় জোয়ার-ভাটার প্রবল স্রোতে খালের পশ্চিম পার্শ্বে গড়ে ওঠা বাড়িটি ভেঙে নদীগর্ভে চলে যায়।

 

সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বললে জানান, ইলিয়াস ঢালী বহুবার ঠিকাদারের লোকজনের সাথে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হলেও কোন কর্ণপাত করেনি তারা।

 

ঠিকাদারের দেয়া দায়িত্ব পালনকারী মোঃ মোস্তফিজুর রহমান ও আলম সরকারসহ অন্যান্যরা সেই বাদ অপসারণের কোন ব্যবস্তা না নেয়ায় ওই লোকটির কষ্টে করা বাড়িটি বিলিন হয়ে যাচ্ছে। তাই তিনি প্রতিদিন বসে বসে কান্না করেন আর আল্লাহকে ডাকেন।

 

ইসমাঈল ঢালী কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমি বৃদ্ধ মানুষ, রোজগার করার মত আমার কেউ নাই। এক ছেলে বিদেশে মারা গেছে সেখান থেকে পাওয়া টাকা দিয়েই এ বাড়িটি করেছি। ঠিকাদারকে বহুবার বলেছি এবং তার নিয়োগ করা সহকারী ঠিকাদারকেও বলেছি তারা আমার কথার কোনো গুরুত্বই দেন না। এখন সরকারের কাছে আমার আকুতি, আমার বাড়িটি যেন রক্ষা করে দেন।

 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঠিকাদার মোস্তাফজিুর রহমান বলেন, মাটি অপসারণের কাজ আমাদের। কিন্তু হঠাৎ পানিবৃদ্ধির কারণে সম্ভব হয়নি। বৃদ্ধার বিষয়টি আমি এসে ব্যবস্থা নেবো। সূত্র- সময়ের কণ্ঠস্বর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *