এবার নতুন মিশনে শবনম ফারিয়া

বিনোদন ডেস্ক- একটি টেলিফিল্ম বানানো হবে। মুক্তিযুদ্ধের সত্য ঘটনা অবলম্বনে সে টেলিফিল্মের জন্য দরকার ট্রেন, এবং শুধু ট্রেনে হলে হবে না—প্রয়োজন রেলের শহর। মুক্তিযুদ্ধের রোমহর্ষক ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে টেলিফিল্ম ‘শ্বাপদ’।

 

আর এ টেলিফিল্মকে বাস্তবে চিত্রিত করতে শুটিংয়ের জন্য ঢাকা থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরের রেলের শহর পার্বতীপুর ও সৈয়দপুরকে বেছে নেওয়া হয়। টানা তিনদিন সেখানে শুটিং করা হয়। চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুম আর পরিচালনা করেছেন শাহরীয়ার। টেলিফিল্মটি প্রযোজনা করেছেন পিকলু চৌধুরী।

 

এই টেলিফিল্মটিতে অভিনয় করতেই ফারিয়া চলে গেছেন পার্বতীপুর ও সৈয়দপুরে। এতে আরও অভিনয় করেছেন এফ এস নাইম, তারিক আনাম খান,শম্পা রেজা,শতাব্দি ওয়াদুদ, আবুল কালাম আজাদ সেতু, রওনক রিপনসহ অনেকেই। তারাও গেছেন এই দুই শহরে।

 

শ্বাপদের গল্পটা এমন, পাকিস্তান রেলওয়ে। ১৯৭১। ওয়াজিউল্লাহ চৌধুরী তখন পাকিস্তান রেলওয়েতে বিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত। স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে এবং মাকে নিয়ে ওয়াজিউল্লাহর পরিবার। বড় ছেলে আবুল কাসেমের বয়স তখন ২১। মুক্তির দলে যোগ দেওয়ার জন্য ছেলে ছটফট করে। ওয়াজিউল্লাহ কড়া শাসন করেন। রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাকিস্তানের সরকারি চাকুরে। ওয়াজিউল্লাহ তখনও চাকরি করে যাচ্ছেন। যদি কোনোভাবে জানতে পারে ছেলে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে, তাহলে সবার জীবন বিপন্ন।

 

বদর বাহিনীর এক ছেলে এক পাকিস্তানি আর্মি নিয়ে বাড়িতে হাজির হয়। ওয়াজিউল্লাহ, স্ত্রী, ছেলেমেয়েরা ভয় পায়। তাকে নিয়ে যায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক ক্যাপ্টেনের কাছে। এভাবে এগিয়ে যায় গল্প।

 

প্রযোজক পিকলু চৌধুরী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের কোনো ঘটনা এতোই নৃশংস যে সেব গল্প শুনলে বুক কেঁপে ওঠে। পাক বাহিনীর নি র্ম ম অ ত্যাচারের শিকার হয়েছে এদেশের মানুষ, এই গল্প তারই প্রতিছবি। সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণায় এই গল্প আমরা শুনেছি ঘটনার সাক্ষি ওয়াজিউল্লার মেয়ে লুৎফুন্নেসা এবং নাতি রাশেদুল আউয়ালের কাছে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই টেলিফিল্মটি বানানোর জন্য একটি ট্রেনের ছয়টি বগি ভাড়া করেছিলাম তিনদিনের জন্য। শুধু তাই নয়। স্থানীয়ভাবে সহায়তা পেয়েছি বলে একটি সুন্দর প্রযোজনা সম্পন্ন করতে পেরেছি।’

 

এতে অভিনয় প্রসঙ্গে শবনম ফারিয়া বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্প আমাকে সব সময়ই টানে। সত্য ঘটনা নিয়ে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের টেলিছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ। আশা করছি, এটি দর্শকের ভালো লাগবে।’

 

১৬ ডিসেম্বর একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে এটি প্রচার হবে বলে নির্মাতা জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *