হতে পারে, এটি আমার শারীরিক সমস্যা: আফরান নিশো

বিনোদন ডেস্ক- ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো। ব্যতিক্রম কিছু গল্পে চমৎকার সব চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেণ তিনি। বিশেষ করে রোমান্টিক গল্পের নায়ক হিসেবে নিশো এখন নির্মাতাদের সেরা পছন্দ। পর্দায় তার উপস্থিতি মানেই দর্শকের জন্য বাড়তি আগ্রহ।

 

তবে এখন আর শুধু নাটকই করছেন না, ওটিটিতেও তাঁর আগ্রহ বেড়েছে। পাশাপাশি নানান ধরনের ইভেন্টেও অংশ নিচ্ছেন এই তারকা। সম্প্রতি এক জাতীয় দৈনিকের সঙ্গে ওটিটিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেতা।

 

আফরান নিশো বলেন, করোনার ভয়াবহ বিস্তারের সময় থেকে কাজ কম করছি। গেল বছর ঈদুল ফিতরে একটা কাজও করিনি। ঈদুল আজহায় ১০টি কাজ করেছিলাম। এরপর থেকে মাসে তিন–চারটি কাজ করি। আগে মাসে প্রায় ২৫ দিন শুটিং করতাম। এখন মাসে ১০ থেকে ১২ দিন কাজ করি। এই ফাঁকে ওটিটিতে কাজের একটা আবহ তৈরি হয়েছে।

 

ওটিটির প্রতি আগ্রহ বাড়ার কারণও জানিয়েছেন তিনি। বলেন, ওটিটি বড় প্ল্যাটফর্ম। এখানে কাজের সুবিধা আছে। ধরুন, ৫ লাখ টাকা বাজেটের একটি কাজে একজন পরিচালক যা দেখাতে পারবেন, ৫০ লাখ টাকা বাজেটে তার চেয়ে ভালো কিছু দেখাতে পারেন। তা ছাড়া ওটিটির কাজে আয়োজনটাও বড়। এখানে অভিনয় দেখানোর জায়গা আছে। একইভাবে আর্থিক সচ্ছলতার সুযোগ থাকছে। সব মিলে একজন অভিনেতা তো সেই সুযোগ নেবেনই।

 

কেউ কেউ বলছেন, বর্তমানে নাটকে ভালো গল্প খুব কম পাওয়া যায়। এমন প্রশ্নের নিশো বলেন, ‘আমার কাছে ভালো গল্পের অভাব মনে হচ্ছে না। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে সব সময়ই কিন্তু প্যারালাল গল্পের ব্যাপারটি ছিল, আছে। তা ছাড়া পৃথিবীতে গল্পের পরিমাণ কিন্তু বেশি নয়। যা আছে, তার শাখা–প্রশাখা নিয়ে কাজ হচ্ছে। তার মধ্য থেকে ভালো–মন্দ বেছে নিয়ে কাজ করতে হবে।

 

আমার কাছে মনে হয়, এখন দুর্দান্ত সব গল্পের কাজ হচ্ছে। কারিগরি দিকটাও আগের চেয়ে উন্নত। এখনকার সব তরুণ পরিচালক মেধাবী, তাঁরা ভালো কাজ করতে চান, করছেনও। এ সময় কাজ কম করার ব্যাপারটা একান্তই আমার নিজের। হতে পারে, এটি আমার নিজের শারীরিক সমস্যা বা আমি অন্য কোনো কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে নাটকের কাজ কম করছি। তাই বলে গল্প, কাজের মানের কারণে কাজ কম করছি, ব্যাপারটা তা নয়।’

 

জনপ্রিয় এই অভিনেতা বলেন, সামগ্রিকভাবে আমি নাটকের মানুষ। এর বাইরে আমি আগে কিছুই করতাম না। শুধুই নাটকের কাজ আমার কাছে এখন একধরণের চাপ মনে হয়। দেশজুড়ে আমার হাজার হাজার ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষী ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে। তাঁদের প্রতি আমার দায়িত্বও আছে। কদিন আগে কুমিল্লায় একটি শোরুমের উদ্বোধনীতে গিয়েছিলাম। সেখানে ভক্তদের ভালোবাসায় আমি আপ্লুত হয়েছি। ইচ্ছা হয় দেশের ৬৪টি জেলাতেই সশরীর যেতে।

 

তিনি বলেন, শুটিংয়ে গেলে ভক্তদের সঙ্গে কথা বলার সময় হয় না। অন্য কোনো কাজে গেলে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পাওয়া যায়। এটি কিন্তু আবেগেরও একটা জায়গা। এটি শিল্পী ও ভক্তের মেলবন্ধন তৈরি করে। এ কারণে এখন এ ধরণের কাজ করছি। ভক্তদের কাছাকাছি যাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *