বিনোদন ডেস্ক- ঢালিউডের সুপারস্টার শাকিব খান গত ১৪ নভেম্বর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন লোকেশনে আনন্দঘন সময় কাটাচ্ছেন ঢালিউডের এই ‘ভাইজান’। ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফেরার কথা রয়েছে শাকিব খানের।
এরমধ্যে দুঃসংবাদ শুনলেন ‘মেগাস্টার’ শাকিব। তাঁর বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে এনে শাকিবের ব্যাংক, শেয়ারবাজার, সঞ্চয়পত্রসহ আট বছরের লেনদেনের তথ্য চেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড(এনবিআর)। ঋণ ও বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব থাকলে সে তথ্যও জানতে বলা হয়েছে।লকার, ক্রেডিট কার্ড বা অন্য কোনো স্কিমে বিনিয়োগ থাকলে, তাও পাঠাতে হবে।
২০১৩ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন সময়ে ৮ করবর্ষের লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) থেকে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও শেয়ারবাজার সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়ে এ তথ্য চাওয়া হয়।
জানা গেছে, সম্ভাব্য কর ফাঁকির তথ্য যাচাইয়ের জন্যই এ অভিনেতার গত ৮ করবর্ষের লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। সেখানে কোনো অসঙ্গতি পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যদি এনবিআরের এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়।তাহলে শাস্তি হিসেবে জরিমানা এবং জেলও হতে পারে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাকিবের। তবে শেষ পর্যন্ত অভিযোগ প্রমাণিত না হয়! তাহলে জেলে যেতে হবে না শাকিব খানের। সুদ’সহ বাকি থাকা পুরো করের টাকাটা শোধ করে দিলেই এনবিআর এই শাস্তি মওকুফ করে দিবেন তাঁকে।
উল্লেখ্য, আয়কর অধ্যাদেশের ১৯৮৪–এর ১১৩ (এফ) ধারার ক্ষমতাবলে এই হিসাব তলব করেছে এনবিআর। আয়কর ফাঁকির অনুসন্ধানের জন্য এই ধারা ব্যবহার করে থাকে এনবিআর।
এর আগে ২০১৯ সালে অভিনয়শিল্পী ক্যাটাগরি থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ করদাতা হন শাকিব খান।