নাগরপুরে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ নির্বাচন, ৬টিতে নৌকা ও ৫টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৬টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন। ২টি ইউনিয়নে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র এবং ৩টি ইউনিয়নে বিএনপি-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান হয়েছেন।

 

রবিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে মোট ৫৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৩৭ জন, সদস্য (মেম্বার) পদে ৪৬৬ জন সহ সর্বমোট ৬৬১ জন প্রার্থী তাদের অনুকূলে নৌকা, হাতপাখা, ঘোড়া, গামছা ও আনারস সহ সর্বমোট ২০টির অধিক প্রতীক নিয়ে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন।

 

বিজয়ীরা হলেন, নাগরপুর সদর ইউনিয়নে (নৌকা) প্রতীক মার্কার প্রার্থী মোঃ কুদরত আলী, ৬ হাজার ৯৪৭ ভোট পেয়ে বিজয় হয়েছেন, তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস মার্কা প্রতিক নিয়ে রফিজ উদ্দিন (স্বতন্ত্র) ৪ হাজার ৯৬৫ ভোট পেয়েছে।

 

সলিমাবাদ ইউনিয়নে (নৌকা) প্রতীক মার্কার প্রার্থী মো: শাহীদুল ইসলাম অপু, ৫ হাজার ৮৬৩ ভোট পেয়ে বিজয় হয়েছেন, তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দ্বী (লাঙ্গল) মার্কা প্রতীক নিয়ে মো: এমদাদ হোসেন ৪ হাজার ২৬৪ ভোট পেয়েছে। গয়হাটা ইউনিয়নে (নৌকা) প্রতীক মার্কার প্রার্থী শেখ শামছুল হক, ৯ হাজার ৬৯০ ভোট পেয়ে বিজয় হয়েছেন, তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দ্বী (স্বতন্ত্র) ঘোড়া মার্কা প্রতীক নিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান আসকর ৬ হাজার ৭০৯ ভোট পেয়েছে।

 

বেকড়া আটগ্রাম ইউনিয়নে (নৌকা) প্রতীক মার্কার প্রার্থী মো: শওকত হোসেন, ৫ হাজার ৬৪২ ভোট পেয়ে বিজয় হয়েছেন, তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দ্বী (স্বতন্ত্র) ঘোড়া মার্কা প্রতীক খান মোঃ আসাদুজ্জামান কিছলু, ১ হাজার ৩২৫ ভোট পেয়েছে। মামুদনগর ইউনিয়নে (নৌকা) প্রতীক মার্কার প্রার্থী মোঃ জজ কামাল, ৭ হাজার ৫০৫ ভোট পেয়ে বিজয় হয়েছেন, তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দ্বী (স্বতন্ত্র) আনারস মার্কা প্রতীক নিয়ে মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ৬ হাজার ০১৬ ভোট পেয়েছে।

 

মোকনা ইউনিয়নে (নৌকা) প্রতীক মার্কার প্রার্থী মো: শরিফুল ইসলাম, ৬ হাজার ৫৫৬ ভোট পেয়ে বিজয় হয়েছেন, তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দ্বী (স্বতন্ত্র) আনারস মার্কা প্রতীক খান মো: আতাউর রহমান খান, ৪ হাজার ৭২৮ ভোট পেয়েছে। ধুবড়িয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (আনারস) প্রতীক মার্কার প্রার্থী মোঃ শফিকুর রহমান খান, ৪ হাজার ৩৪৩ ভোট পেয়ে বিজয় হয়েছেন, তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দ্বী (নৌকা) মার্কা প্রতীক নিয়ে মো: মতিয়ার রহমান ৩ হাজার ৬১১ ভোট পেয়েছে।

 

ভাদ্রা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (টেবিল ফ্যান) প্রতীক মার্কার প্রার্থী শওকত আলী, ৩ হাজার ৭৪১ ভোট পেয়ে বিজয় হয়েছেন, তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দ্বী (মোটরসাইকেল) মার্কা প্রতীক নিয়ে মো: হাবিবুর রহমান খান ৩ হাজার ২৬২ ভোট পেয়েছে। পাকুটিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (আনারস) প্রতীক মার্কার প্রার্থী মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান, ৩ হাজার ২৯০ ভোট পেয়ে বিজয় হয়েছেন, তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দ্বী (নৌকা) মার্কা প্রতীক নিয়ে মোহাম্মদ শামীম খান ২ হাজার ৯১২ ভোট পেয়েছে।

 

দপ্তিয়র ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (আনারস) প্রতীক মার্কার প্রার্থী এম ফিরোজ সিদ্দিকী, ৪ হাজার ৬৮৩ ভোট পেয়ে বিজয় হয়েছেন, তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দ্বী (নৌকা) মার্কা প্রতীক নিয়ে মো: আবুল হাশেম ৪ হাজার ৩৩৯ ভোট পেয়েছে। সহবতপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (ঘোড়া) প্রতীক মার্কার প্রার্থী মোঃ তোফায়েল আহমেদ মোল্লা, ৯ হাজার ৭৪২ ভোট পেয়ে বিজয় হয়েছেন, তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দ্বী (নৌকা) মার্কা প্রতীক নিয়ে মোঃ আনিসুর রহমান ৮ হাজার ১৭২ ভোট পেয়েছে।

 

নাগরপুর উপজেলা নির্বাচন ও রিটানিং কর্মকর্তা মো: আরশেদ আলী জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠ করতে সর্বদা আইনশৃঙ্খা বাহিনী পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি, আনসার সদস্যরা মাঠে ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *