নজর২৪, ঢাকা- নারায়ণগঞ্জে মসজিদে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধদের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে আজ রোববার সকালেই দুইজনের মৃত্যু হলো। এতে করে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। বাকি ১৪ জনের অবস্থাও সংকটাপন্ন। যাদের বেশিরভাগের শ্বাসনালীসহ শরীরের ৯০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে।
শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শঙ্কর পাল গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘গুরুতর দগ্ধ আরও ১৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
মারা যাওয়া ২৩ জন হলেন- মসজিদের মুয়াজ্জিন দেলোয়ার (৪৮), ইব্রাহিম (৪৩), জুনায়েদ (১৭), জামাল (৪০), কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), সাব্বির (২১), হুমায়ুন কবির (৭০), মোস্তফা কামাল (৩৪), রিফাত (১৮), জুবায়ের (১৮), জয়নাল (৫০), মাইনুদ্দিন (১২), জুয়েল (৭), মো. রাসেল (৩৪), নয়ন (২৭), কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), রাসেল (৩৪) ও জয়নাল, মসজিদের ইমাম আব্দুল মালেক (৬০), বাহার উদ্দিন (৫৫), সাংবাদিক নাদিম ও জুলহাস উদ্দিন (৩০)।
চিকিৎসাধীন রয়েছেন- ফরিদ (৫৫), শেখ ফরিদ (২১), মনির (৩০), মো. রাশেদ (৩০), আবুল বাশার মোল্লা (৫১), শামীম হাসান (৪৫), মো. আলী মাস্টার (৫৫), মো. কেনান (২৪), নজরুল ইসলাম (৫০), রিফাত (১৮), আব্দুল আজিজ (৪০), মিজান (৪০), হান্নান (৫০), আব্দুস সাত্তার (৪০), আমজাদ (৩৭) ও মামুন (২৩)।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এশার নামাজের সময় এ বিস্ফোরণ ঘটে। ফরজ নামাজের মোনাজাত শেষে অনেকে সুন্নত ও অন্য নামাজ পড়ছিলেন। এসময় মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জনের মতো মুসল্লি ছিলেন। বিস্ফোরণে তাদের প্রায় প্রায় সবাই দগ্ধ হন।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এর আগে জানিয়েছিলেন, দগ্ধদের মধ্যে বেশির ভাগেরই মেজর বার্ন। অনেকের বার্ন কম থাকলেও শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। তাই কেউ আশঙ্কামুক্ত নয়। দগ্ধদের অনেককে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে।