সাইফুল ইসলাম মুকুল, রংপুর ব্যুরো- রংপুরের গঙ্গাচড়ায় শেখ হাসিনা গঙ্গাচড়া সেতুর মহিপুর-কাকিনা সংযোগ সড়কে ফের ভাঙন দেখা দিয়েছে। তিস্তার পানি কমলেও অব্যাহত ভাঙনে এলজিইডি নির্মিত ওই সংযোগ সড়কটির প্রায় ১০০ ফুট জুড়ে ব্লক ধসে পড়েছে। এতে করে যে কোনো সময় লালমনিরহাট জেলার কাকিনার সঙ্গে রংপুরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় ও এলজিইডি সূত্রে জানাগেছে, তিস্তার মূল প্রবাহ শেখ হাসিনা গঙ্গাচড়া সেতুর নিচ দিয়ে প্রবাহিত না হয়ে দুটি নতুন চ্যানেলে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার নতুন এই গতিপথ দুটো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠায় নদীতে বিলীন হচ্ছে দুই পারের ঘরবাড়িসহ স্থাপনা। এতে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত শেখ হাসিনা গঙ্গাচড়া সেতুর সংযোগ সড়কের উত্তর পাশের তিনটি সেতু (৪২ মিটার, ১২ মিটার ও ৪৮ মিটার) ও সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এর মধ্যে সেরাজুল মার্কেটের কাছে সেতুর দক্ষিণ পার্শ্বে পানির তোড়ে প্রায় ১০০ ফুট এলাকা জুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ওই এলাকায় সড়কের ব্লক পিচিং ধসে পড়ে ভাঙন এসে ঠেকেছে পাকা সড়কে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) গঙ্গাচড়ার উদ্যোগে সেখানে ভাঙন রোধে বালুর বস্তা ডাম্পিং করলেও তা একেবারেই অপ্রতুল উল্লেখ করে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন যে কোন সময় পানির তোড়ে সড়ক ও সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী জানান, শুধু বালুর বস্তা নয়-এখনই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে না পারলে ওই সড়ক রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রকৌশলী এজেডএম আহসান উল্লাহ ভাঙ্গনের কথা স্বীকার করে বলেন, বাঁধ ভেঙে তিস্তা আরও দুটি ভিন্ন চ্যানেলে প্রবাহিত হওয়ায় শেখ হাসিনা গঙ্গাচড়া সেতুর উত্তর প্রান্তে নির্মিত তিনটি সেতু ও সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সড়কের ভাঙ্গন রোধে আপাতত বালুর বস্তা ডাম্পিং করা হচ্ছে।