সবাইকে বলবো ধৈ.র্য ধরতে, প্র.তিবাদ করার দরকার নেই: কাদের

নজর২৪, ঢাকা- ‘সরকার ধর্ষ’ণ, হ’ত্যার সঙ্গে জড়িত কোনও অপরা’ধীকে কখনেও ন্যূনতম ছাড় দেয়নি। আমি সবাইকে বলবো ধৈ’র্য ধরতে, প্র’তিবাদ করার দরকার নেই। সরকার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বি’চার করছে, কাউকে রেহাই দিচ্ছে না। প্র’তিবাদ বিচা’রের জন্য করা হচ্ছে। সরকার এ ঘটনার বিচা’র করছে। এ অবস্থায় যে জন্য প্রতি’বাদ, সরকারই তো অপরাধীদের বি’চারের আওতায় আনছে।’

 

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ধর্ষণ-হত্যার সঙ্গে জড়িত কোনো অপরাধীকে সরকার কখনই ন্যূনতম ছাড় দেয়নি। ধর্ষণকে রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করলে বিচার বাধাগ্রস্ত হতে পারে। ধর্ষণ এক ধরনের সন্ত্রাস। এর সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।

 

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, অপরাধী যেই হোক, তার আসল পরিচয় দুর্বৃত্ত। দুর্বৃত্তের দলীয় কোনও পরিচয় নেই। অপরাধীর ব্যাপারে দেশরত্ন শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স। আমরা আন্দোলনের রাজনৈতিক ইস্যু তুলে নিতে কাওকে এলাউ করিনি। সরকার স্বপ্রণোদিত হয়েই সর ধরণের অপরাধের শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম শুরু করেছে। সাম্প্রতিককালে বেশকিছু বিচার কার্য সম্পন্ন হয়েছে।

 

তিনি বলেন, ধর্ষকের পরিচয় ধর্ষক, সে অপরাধী, দুর্বৃত্ত। ধর্ষণরোধে সম্মিলিতভাবে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সামজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ভূমিকা পালন করছে। আমাদের নেত্রীর নির্দেশনা হলো, অপরাধী যত বড় নেতাই হন, যত প্রভাবশালী হোক না কেনো তাকে শাস্তি পেতেই হবে। আমাদের সরকারের অনেক এমপি মন্ত্রীকেও আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে।

 

ধর্ষণ নিয়ে বিএনপির নেতাদের মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা এসব অপবাদ দেন, তারা ক্ষমতায় থাকতে বাংলাদেশ একটাও কি ধর্ষণের বিচার হয়েছে? তখন সারাদেশে ধর্ষণের যে একটা অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিলো, তখন আপন লোকদের বিচার না করে তারা দোষ চাপিয়ে দিয়েছিলো আওয়ামী লীগের ওপর। এখনে কোনো আপোষ নেই, কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। এই আমলে একটা হত্যাকাণ্ড দেখান যেখানে দলীয় নেতাকর্মী হলেও বিন্দুমাত্র ছাড় দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

 

সম্পাদক মণ্ডলীর সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এড. আফজাল হোসেন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খানসহ অনেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *