তুই পুরুষ হয়ে জন্মেছিস এটাই তোর অহংকার, আর আমি নারী এটাই আমার পাপ। একজন নারীর গর্ভে জন্ম নিয়েও কিভাবে পারিস অন্য এক নারীর সম্ভ্রম কেড়ে নিতে, নারীকে বিবস্ত্র করতে কিভাবে পারিস তোরা? নারীর চিৎকার – আর্তনাদ কি কানে বাজে না?
আজ নারী বলেই আমাকে নিজের জন্য নিরাপদ একটা আশ্রয় খুঁজতে হয়, খুঁজতে হয় একটু প্রাণভরে নিশ্বাস নেবার জায়গা। আর সে নিরাপদ আশ্রয়েও কি আমি আদৌ নিরাপদ? আজ তাই প্রশ্ন? আমার নিরাপত্তা কে দেবে? কে দিবে একটু স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে, রাতের বেলায় অবাধে নির্ভয়ে বাড়ি ফিরতে?
আমার মা সে কি আজ নিরাপদ, আর তার মেয়ে হয়ে আমি নিজে কি? না না আমরা কেউই নিরাপদ নই। মানুষরূপী অমানুষদের জন্য আমরা কেউই নিরাপদ নই। এই পুরুষ শাসিত সমাজে আজও নারী বড্ড অসহায়।
যেখানে ধর্ষিতা নারীকে ঠিকই সমাজে হেয় হতে হয়। শুনতে হয় মানুষের কটূ কথা, কেউ কেউ আবার সেখানে মেয়েটির চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলে। আর সেখানে যে ধর্ষক সে দিব্যি বুক ফুলিয়ে অবাধে ঘুরে বেড়ায়। পরিশেষে বলতে চাই, একজন ধর্ষকের দ্বিতীয় কোন পরিচয় থাকতে পারে না। তার একটাই পরিচয় সে শুধুই ‘ধর্ষক’।
লেখকঃ তানিয়া আক্তার, স্কুল শিক্ষিকা।