নজর২৪, ঢাকা- পুলিশ ধর্ষকদের প্রশ্রয় দিয়ে ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে আজ সোমবার দুপুরে এই অভিযোগ করেন তিনি। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ এই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে।
ভিপি নুর বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর (জাতীয় নির্বাচন) এই বাংলাদেশকে গণধর্ষণ করেছে। এই গণধর্ষণের মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়েছে। ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ডাকাতি, গণধর্ষণের মাধ্যমে এই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে কবর দিয়েছে তারা। আজ ময়মনসিংহে আমার সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের পুলিশ বাধা দিয়েছে। আজ পুলিশ ধর্ষকদের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে, তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘কিছু দিন আগে একটি ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা ধর্ষণবিরোধী গ্রাফিতি আঁকতে গিয়ে পুলিশের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমরা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।’
নুরুল হক নুর বলেন, ‘ছাত্রদল ভিন্ন রাজনীতি করে। তাদের রাজনীতি আমাদের রাজনীতি ভিন্ন। ধর্ষণের ঘটনায় সিলেট ও নোয়াখালীতে আন্দোলন করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বিচারক তাদের জেলে পাঠিয়েছে। আমরা ধিক্কার জানাই সেসব বিবেকহীন বিচারকের প্রতি।’
তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আপনারা যদি ধর্ষণ এবং দুর্নীতির পক্ষে অবস্থান নেন তবে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
সাবেক ডাকসু ভিপি বলেন, আজ স্বাধীনতার ৫০ বছরের দারপ্রান্তে। কিন্তু এখন পর্যন্ত গণতন্ত্রকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারিনি। প্রত্যেকটা দল ক্ষমতায় এসে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। প্রত্যেকেই ভিন্নমত দমন করার জন্য গুম-খুনের রাজনীতি করেছে।
তিনি বলেন, এই সরকারকে যদি হটাতে না পারি তাহলে এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষা হবে না। মধ্যযুগে নারীদের প্রতি সহিংসতার কারণে আইয়্যামে জাহিলিয়াতের যুগ বলা হতো। বর্তমান বাংলাদেশে এখন আওয়ামী জাহিলিয়াতের যুগ চলছে। এই যুগে কারও মা-বোন, ভাই-বাবা কেউ নিরাপদ নয়।
বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হাসান, মশিউর রহমান, তারেক রহমান, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. আতাউল্লাহ, সদস্য সচিব ফরিদুল হক, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান প্রমুখ।