নজর২৪, সিলেট- সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীকে বেঁধে ছাত্রাবাসে স্ত্রীকে গণধর্ষণ নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই এবার সেই পাঁচ সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে অভিযুক্ত শ্রমিক লীগ নেতা দেলেয়ার হোসেন ও তার এক সহযোগী হারুন আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
দেলেয়ার হোসেন ও তার সহযোগী হারুন আহমদ সিলেট নগরীর শামীমাবাদ আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর রোডের ২ নম্বর বাসার দুইতলার ভাড়াটে। ধর্ষণের শিকার ওই নারী একই এলাকার বাসিন্দা। দেলোয়ার শ্রমিক লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোর্তিময় সরকার মামলার বরাত দিয়ে জানান, গত পরশু শামীমাবাদ আবাসিক এলাকার ৪নম্বর রোডের পাঁচ সন্তানের এক জননী ধর্ষনের শিকার হন। পরে তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি হন। গতকাল রোববার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ আসলে সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দেলোয়ার ও তার সহযোগী হারুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জ্যোর্তিময় সরকার জানান, মামলায় ওই নারী অভিযোগ করেন দেলোয়ার তাকে ধর্ষণ করে এবং আরও তিনজন ধর্ষণে সহযোগিতা করে।
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এমসি কলেজে ঘুরতে আসা এক দম্পতিকে আটক করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জোর করে ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যান। পরে তারা স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।