সাইফুল ইসলাম, মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি- তামাক কোম্পানীর বিজ্ঞাপন বন্ধে, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের লক্ষে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (৪ অক্টোবর) দি ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সার্বিক সহযোগীতায় এবং মধুপুর স্বাস্থ্য শিক্ষা কৃষি গবেষণা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ তথা রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে জনগণের দোরগোড়ায় তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে সেবা পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নানামূখী উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ এ তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বাজারে মুদিখানা ও চায়ের দোকানে কৌশলে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে দেখা গেছে। যা জনকল্যাণে প্রণীত ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন এর ৫ ধারার সুস্পষ্ট লংঘন। কিন্তু ইদানিং টাঙ্গাইলের সব উপজেলায় বিভিন্ন তামাকপণ্যের দোকানগুলোতে এই অবৈধ বিজ্ঞাপনে সয়লাব হয়ে গেছে।
মধুপুর, গোপালপুর কালিহাতী ও ঘাটাইল সদর এই ৪টি উপজেলায় তামাকজাত দ্রব্যের অবৈধ বিজ্ঞাপণের মধ্যে ব্যানার, পোস্টার, স্টিকার, ফ্লেয়ার, উইন্ডো এগুলি কমন বিজ্ঞাপণ হিসেবে দেখা গেছে। এরসাথে বিলবোর্ড, কেশবাক্স, প্রমোশনাল স্টিকারসহ প্রায় ১৮ ধরণের বিজ্ঞাপণ প্রচার করছে। এই সকল অবৈধ বিজ্ঞাপণ ব্যবহারের মাধ্যমে তামাক কোম্পানীসমূহ প্রধানত কিশোর ও যুব সমাজকে টার্গেট করছে।
তাদের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার বিশেষকরে সিগারেট সেবনের প্রতি আগ্রহী করে তুলছে। যা আমাদের যুব সমাজকে তামাকের কালো থাবায় আচ্ছাদিত করছে। প্রশাসন অন্ততপক্ষে ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে তামাকের এই অবৈধ বিজ্ঞাপন বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন- এটাই প্রত্যাশা করা হয়েছে।