নজর২৪, ঢাকা- নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণচেষ্টার পর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ৯ জন চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সোমবার (৫ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত জড়িতদের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) আলমগীর হোসেন জানান, গতকাল ৪ অক্টোবর রাতে নির্যাতন ও প্রযুক্তি আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সেই নারী। মামলায় সাতজনের নাম ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। তবে পুলিশ এ ঘটনায় নয় জনকে চিহ্নিত করেছে।
নির্যাতনে জড়িতরা হলেন- দেলোয়ার, বাদল, আবদুর রহিম, রহমতউল্লাহ, আবুল কালাম, ইসরাফিল, সাজু, সামশুদ্দিন সুমন, আবদুর রব চৌধুরী ওরফে লম্বা চৌধুরী। এদের মধ্যে দেলোয়ার ও বাদল র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। আর আবদুর রহিম ও রহমত উল্লাকে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।
র্যাব-১১-এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম জানান, দেশব্যাপী চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আমাদের কাছে খবর আসে, জড়িত কয়েকজন গা ঢাকা দেয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকায় অবস্থান নিয়েছেন। ওই খবরে র্যাব-১১ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। মধ্যরাতে মামলার প্রধান আসামি বাদলকে ঢাকা হাইওয়ে এলাকা থেকে এবং ভোরে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে অস্ত্রসহ নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২ সেপ্টেম্বর রাতে বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নের খালপাড় এলাকায় ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার, বাদল, কালামসহ কয়েকজন। ঘটনার ৩২ দিন পর রবিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় রবিবার রাতেই দুটি মামলা হয়েছে।
ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, নির্যাতনকারীরা ওই গৃহবধূর পোশাক কেড়ে নিয়ে তার বিরুদ্ধে কিছু একটা বলতে থাকে। তিনি প্রাণপণে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেন এবং হামলাকারীদের ‘বাবা’ ডাকেন, তাদের পায়ে ধরেন। কিন্তু, তারা ভিডিও ধারণ বন্ধ করেনি। বরং হামলাকারীদের একজন তার মুখমণ্ডলে লাথি মারে ও পা দিয়ে মুখসহ শরীর মাড়িয়ে দেয়। এরপর একটা লাঠি দিয়ে মাঝে মাঝেই আঘাত করতে থাকে। এসময় ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার উল্লাস প্রকাশ করে ‘ফেসবুক’ ‘ফেসবুক’ বলে চেঁচায় আরেকজন।