ধ.র্ষ.ণকারীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলেই অস্থিরতা কাটিয়ে উঠবে দেশ

হে ভগ্নি, কন্যা, মা, আপনারা জেগে উঠুন

 

আপনার সন্তান, আপনার ভাই, আপনারই মতো কোন নারীর সর্বনাশ করে তার সাময়িক যৌনাকাঙ্খা মিটিয়ে আপনারই ঘরে স্বস্তিতে ঘুমিয়ে আছে। আপনি আপনার সন্তানকে, ভাইকে আইনের হাতে সোপর্দ করুন, দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। কোন মায়ের সন্তান যেন এ পৈশাচিক, ঘৃন্য, নেক্কারজনক অপকর্মে লিপ্ত না হয়। আমার ছেলে সৎ, আমার ভাই নিরপরাধ, আমার ছেলেকে শত্রুতা করে জড়িয়ে দিয়েছে, তার পক্ষালম্বন করবেন না।

 

পরিবার হলো একটি সন্তান গড়ার পীঠ স্থান। একজন সন্তানের বেড়ে ওঠে তার মা বাবা কে ধারন করে, অনুসরন ও অনুকরন করেই। আমার সন্তান কি করছে, কাদের সাথে মিশছে, কাদের সাথে তার জীবনের অধিকাংশ সময় কাটাচ্ছে, কার সাথে তার সখ্যতা মা -ই তা ভাল জানেন। সুতরাং সন্তানের চলা ফিরা গতিবিধির উপর তীব্র নজর রাখা জরুরী।

 

এ করোনা সময়ে আমাদের মনে একটা মৃত্যু ভয় এসেছে আমরা আল্লাহকে বেশী বেশী স্মরণ করছি ঠিকই, কিন্ত কমেনি অপরাধ প্রবনতা। বর্তমানে এক মহাদুর্যোগ কাল অতিক্রম করছি। একদিকে করোনায় কেড়ে নিচ্ছে প্রিয় মুখ, আরেক দিকে চলছে ধর্ষণের হোলিখেলা।

 

সরকারের একার পক্ষে এ খেলা বন্ধ করা সম্ভব নয়। সবাই মিলে সামাজিক ভাবে এ অপরাধকে প্রতিরোধ করতে হবে, ধর্ষণকারীর পরিবার কেও সামাজিক ভাবে বয়কট করতে হবে, ধর্ষণকারীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান হলেই হয়তো বা অস্থিরতা কাটিয়ে উঠতে পারবে দেশ। সবাই পাবে নারী নির্যাতন মুক্ত, ধর্ষণ মুক্ত, নারীর জন্য নিরাপদ সুন্দর ঝলমলে সোনার বাংলাদেশ।

 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বিগত ২০০২ সনের আগে থেকে এসিড নিক্ষেপ ও মহামারী হিসেবে এসেছিল। এসিড অপরাধ দমন আইন, (২০০২ সনের ২ নং আইন) মাইল ফলক হিসেবে কাজ করেছে, মানুষ ভয় পেয়েছে তাই এসিড নিক্ষেপের মতো ঘটনা অনেক কমেছে।

 

ধারা ৪- এসিড দ্বারা মৃত্যু ঘটানোর শাস্তি

 

যদি কোন ব্যক্তি এসিড দ্বারা অন্য কোন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটান তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন। মৃত্যুদণ্ড রাখার ফলে এবং কিছু ফাঁসি কার্যকর হওয়ার ফলে অপরাধ প্রবনতা বেশ কমেছে সাথে এসিড বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ আইনেরও কার্যকর ভূমিকা রয়েছে।

 

লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *