অন্তু দাস হৃদয়, স্টাফ রিপোটার- টাঙ্গাইলের বাসাইলে ৩য় দফা বন্যায় প্রায় এক হাজার পরিবার নতুন করে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। করোনা ও গত দুই দফা বন্যায় উপজেলার গ্রামীন অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়েছে। ৩য় দফা বন্যা এ উপজেলার মানুষের জন্য মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাড়িয়েছে।
বাসাইল উপজেলার ফুলকী, কাউলজানী, কাঞ্চনপুর, হাবলা, কাশিল, বাসাইল সদর ইউনিয়ন ও বাসাইল পৌরসভার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। গত বৃহস্পতিবার গ্যাড়ামাড়া বিলের বাসাইল দক্ষিন পাড়া এলাকায় কালভার্ট ভেঙ্গে উপজেলার দক্ষিনাঞ্চলের অন্তত ১০টির বেশি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ অঞ্চলের পানিবন্দি মানুষগুলো। পানিবন্দি মানুষগুলোর ঘরে এখনও পৌঁছায়নি ত্রাণ সহায়তা। ফলে তারা চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন।
টাঙ্গাইলের বাসাইলে বন্যার পানির প্রবল স্রোতে বৃহস্পতিবার পৌরএলাকার দক্ষিণপাড়া এলাকায় গ্যাড়ামাড়া বিল সংলগ্ন বাসাইল-নাটিয়াপাড়া সড়কে অবস্থিত কালভার্ট ভেঙ্গে যায়। এই সড়ক দিয়ে বাসাইল উপজেলার আদাজান, কাঞ্চনপুর, বিলপাড়া, বালিনা, ভোরপাড়া, হাবলা, মির্জাপুর উপজেলার কূর্নী, ফতেপুর, পাটখাগুড়ী, মহেড়া, ভাতকুড়া, আদাবাড়ি এবং দেলদুয়ার উপজেলার নাটিয়াপাড়া, বর্নীসহ প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করতো। কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে সড়ক পথে এসব এলাকার মানুষের বাসাইল সদরের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাসাইল উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম বলেন, গত সাড়ে তিন মাস যাবৎ উপজেলা সাধারন মানুষ বন্যা কবলিত রয়েছে। ৩য় দফা পানি বেড়ে যাওয়ায় পানি বেড়ে যাওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। বন্যায় উপজেলা সদরের সাথে সকল ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বন্যার্তদের জন্য সরকারী ত্রাণ সহায়তা না থাকায় বিকল্প উপায়ে তাদের সহযোগীতার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।