অন্তু দাস হৃদয়, স্টাফ রিপোটার- টাঙ্গাইলের বাসাইলে বন্যার পানির প্রবল স্রোতে একটি কালভার্ট ভেঙে গেছে। এতে করে পার্শ্ববর্তী তিন উপজেলার প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সকালে পৌর এলাকার দক্ষিণপাড়া এলাকায় গ্যাড়ামাড়া বিল সংলগ্ন বাসাইল-নাটিয়াপাড়া সড়কে অবস্থিত কালভার্ট ভেঙে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলার সর্বত্রই বন্যার পানি পুনঃরায় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধির প্রভাবে বিভিন্ন এলাকার কাচা পাকা সড়ক ডুবে গেছে। সম্প্রতি গ্যাড়ামাড়া বিলে পানি বৃদ্ধির কারণে বাসাইল-নাটিয়াপাড়া সড়কের ওই কালভার্টের নিচ দিয়ে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয় এবং বৃহস্পতিবার সকালে এটি হঠাৎ করে ভেঙে যায়।
স্থানীয়রা জানান, এই সড়ক দিয়ে বাসাইল উপজেলার আদাজান, কাঞ্চনপুর, বিলপাড়া, বালিনা, ভোরপাড়া, হাবলা, মির্জাপুর উপজেলার কূর্নী, ফতেপুর, পাটখাগুড়ী, মহেড়া, ভাতকুড়া, আদাবাড়ি এবং দেলদুয়ার উপজেলার নাটিয়াপাড়া, বর্নীসহ প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করতো। কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে এসব এলাকার মানুষের বাসাইল সদরের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেলো।
বাসাইল মাখন সুপার মার্কেটের প্রিন্স টেইলার্সের স্বাত্বাধীকারী সোলায়মান মিয়া বলেন, এই রাস্তায় বাসাইলের সকল বড় ব্যবসায়ীরা ঢাকা থেকে মালামাল আনা-নেয়া করতো। কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়াতে আমাদের সময় এবং খরচ দুটোই বেড়ে যাবে। আমরা অতিদ্রুত এখানে একটি সেতু নির্মানের দাবী করছি।
এ বিষয়ে বাসাইল উপজেলা প্রকৌশলী রোজদিদ আহমেদ বলেন, ১৯৯৫ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি) ৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সাড়ে চার মিটার কালভার্টটি নির্মান করা হয়েছিলো। পূর্বেই এই কালভার্টটি ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। নতুন করে পানি বৃদ্ধির ফলে প্রবল স্রোতে এটি ভেঙ্গে গেছে। বাসাইল উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম ও মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আ: রহিম আহমেদসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ প্রসঙ্গে বাসাইল উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম বলেন, ইতোপূর্বেই কালভার্টটি ঝুঁকিপূর্ন ছিল। বাসাইল উপজেলায় নতুন করে বন্যার পানি প্রবেশ করায় কালভার্টটি ভেঙ্গে গেছে। স্থানটি পরিদর্শন শেষে ২০ মিটার সেতু নির্মানের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।