বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি আবারো বিপদসীমা অতিক্রম করে ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং বাঙ্গালী নদীর পানি ২৭ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অসময়ের টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনা ও বাঙ্গালী নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
০১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৗশলী মো. মাহবুবুর রহমান।
জানা যায়, যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর পানি বাড়ার ফলে সারিয়াকান্দি উপজেলার চরাঞ্চলের চালুয়াবাড়ী, কর্নিবাড়ী, কুতুবপুর, চন্দনবাইশা, কাজলা, কামালপুর, রৌহাদহ , সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো এবং ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী ও ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো পুনরায় বন্যা কবলিত হয়েছে। এসব এলাকার রোপা আউশ, মাশকলাই, মরিচ, স্থানীয় জাতের গাঞ্জিয়া ধানসহ ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি কমে আবার বাড়ায় নদী তীরবর্তী মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অনেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন।
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, যমুনা নদীতে বিপদ সীমা নির্ধারণ করা হয় ১৬ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটারে। এ দিন সকাল ৬টার হিসাব অনুযায়ী নদীর পানি ১৬.৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে এবং পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাঙ্গালী নদীতে বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫ দশমিক ৮৫ মিটার। বর্তমানে এ নদীতেও পানি বেড়ে ১৬ দশমিক ১৩ মিটার অর্থাৎ বিপদসীমার ২৭ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।